পাতা:গ্রন্থাকারনামা - প্রমিলচন্দ্র বসু .pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষে কোন পথে পরিচালিত হইবে তাহা নিদিষ্ট হইবে এই দেশের বিশেষ অবস্থা ও বিশেষ সমস্যা দ্বারা । বিদেশে, বিশেষ ভাবে ইংলণ্ডে ও আমেরিকায়, গ্রন্থাগার-বিদ্যার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে কতগুলি সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক নিয়ম ও রীতির উপর। সে-সব রীতি ও নিয়ম সব দেশেই প্রযোজ্য, কিন্তু দেশে দেশে প্রত্যেক দেশের বিশেষ অবস্থা ও সমস্যা এবং প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করিবে সেই সব রীতি ও নিয়ম কি ভাবে বুঝিবার সময় আসিয়াছে, এবং প্রমীল বাবু তাহা শেষ ভাবে উপলব্ধি করিয়াছেন, এবং এই উপলব্ধি হইতেই “গ্রন্থকায় মা’র সৃষ্টি। তিনি অনুবাদ অথবা সঙ্কলন করেন নাই, কোন একটি একটি প্রণালী নিজে উদ্ভাবন করিয়াছেন, আমাদের ক্ষে শর সংস্কৃতিধারা এবং বিশেষ অবস্থার প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া। এই নেই প্রমীল বাবুর কৃতিত্ব। র্তাহার উদ্ভাবিত প্রণালীর কার্য্যকারিতা একাধিক সুপরিচিত গ্রন্থাগারে পরীক্ষিত হইয়াছে, এবং কলিকাতা বিশ্ব-বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয়-গ্রন্থাগারে বাংলা গ্রন্থের গ্রন্থকল্প-নাম নির্দেশ করিবার জন্য “প্রমীল-সংখ্যা” ব্যবহার করিয়া আমরা দেখিয়াছি, উহা সব তোভাবে অনুস্থত হইবার যোগ্য। আমার বিশ্বাস, বাঙলাদেশের গ্রন্থাগারিকেরা পরীক্ষা করিয়া দেখিলে আমার এই মত সমর্থন করিতে আপত্তি করিবেন না । যদি এই বিশ্বাস সত্য হয় তাহা হইলে প্রমীল বাৰু বাঙালী । গ্রন্থাগারিকদের কৃতজ্ঞতা অজনের দাবী রাখেন। . ঐনীহাররঞ্জন রায় । কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় }