পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১০৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
চাঁদের উপরকার অবস্থা
৭৩

দেখায়। ইহার কারণ তোমরা বলিতে পার কি? উদয় ও অস্তের সময়ে সূর্য্য তেরচা-ভাবে কিরণ দেয়, তাই সূর্য্যের আলোককে বায়ু ও নানা বাষ্পের গভীর স্তর ভেদ করিয়া আসিতে হয় এবং ইহাতে আলো কতকটা আট্‌কাইয়া যায়। তাই দুপুরের সূর্য্যকে যেমন উজ্জ্বল দেখায়, উদয়-অস্তকালের সূর্য্যকে সে-রকম দেখায় না।

 বাতাস ও বাষ্পের আলো আট্‌কাইবার এই কথাটিকে মনে রাখিয়া, চাঁদের আকাশে যে বাতাস বা অন্য বাষ্প নাই, তাহা জ্যোতিষীরা প্রমাণ করিয়াছেন। নিজের পথ ধরিয়া আকাশের উপরে চলিতে চলিতে অনেক সময়ে চাঁদ ছোট-বড় নক্ষত্রদিগকে ঢাকিয়া ফেলে। দেখা গিয়াছে, চাঁদের পিছনে প্রবেশ করিবার সময়ে অতি ছোট নক্ষত্রদেরও আলো একটুও কমিয়া আসে না। যখন তাহার চাঁদের পিছনে যায়, কেবল তখনি তাহারা অদৃশ্য হইয়া পড়ে। চাঁদের আকাশে বাতাস থাকিলে কখনই এ রকমে নক্ষত্র অদৃশ্য হইত না। চাঁদের বাতাসে প্রথমেই তাহার আলো কিছু কিছু আট্‌কাইয়া যাইত এবং ইহাতে নক্ষত্রগুলিকে ম্লান দেখাইত। তাহার পরে চাঁদের পিছনে একবারে লুকাইয়া পড়িলে তাহারা অদৃশ্য হইত। কিন্তু যখন নক্ষত্রেরা চাঁদে ঢাকা পড়ে, তখন কখনই এ রকমটি দেখা যায় না। কাজেই বলিতে হয়, চাঁদে বাতাস বা জলের বাষ্পাদির নামগন্ধও নাই।