পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৪৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
শুক্র
১০৯

আছে, কিন্তু শুক্রের একটা ছোট চাঁদও এপর্য্যন্ত খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই। পৃথিবী সূর্য্যকে একবার ঘুরিয়া আসিতে তিনশত পঁইষট্টি দিন সময় লয়, কিন্তু শুক্র সূর্য্যকে ঘুরে কেবল মাত্র সাড়ে সাত মাসে। অর্থাৎ শুক্রের বৎসরগুলি আমাদের সাড়ে সাত মাসের সমান। তার পরে পৃথিবী তাহার মেরুদণ্ডের চারিদিকে চব্বিশ ঘণ্টায় ঘুরিয়া এখানে দিনের পর রাত, এবং রাতের পর দিন দেখাইতে থাকে কিন্তু বুধ গ্রহের মত শুক্রের একটা দিকই চিরকালের জন্য সূর্য্যের পানে তাকাইয়া থাকে, তাহার পিছনের আধখানায় কখনো সূর্য্যের আলো পড়ে না। তাহা হইলে দেখ, শুক্রে রাত-দিন হয় না। যে আধখানায় দিন আছে সেখানে চিরকালের জন্যই দিন এবং যে আধখানায় এখন রাত আছে সেখানে চিরকালের জন্যই রাত থাকে।

 তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে, পৃথিবী ও শুক্র চেহারায় ঠিক্ দু’টি যমজ বোনের মত হইলেও তাহাদের রকম-সকম সব উল্‌টা।

 এখানে শুক্রের দু’খানা ছবি দিলাম। এগুলি দেখিতে ঠিক্ চাঁদের ছবির মত। চাঁদের মত বুধগ্রহের হ্রাসবৃদ্ধি আছে, ইহা তোমাদিগকে আগে বলিয়াছি। বুধের ভ্রমণ-পথের মত শুক্রের ভ্রমণ-পথ পৃথিবী ও সূর্য্যের মধ্যে আছে; এজন্য বুধের মত শুক্রেরও ক্ষয়বৃদ্ধি হয়। দূরবীণ দিয়া যদি তোমরা শুক্রের ক্ষয়বৃদ্ধি দেখিতে পার, তাহা হইলে অবাক্ হইয়া যাইবে। খালি চোখে যে শুক্রকে একটা আলোকবিন্দুর মত জ্বল্ জ্বল্ করিয়া জ্বলিতে দেখা যায়, তাহাকেই দূরবীণের মধ্যে একটি ছোট চাঁদের মত দেখায়। যদি সুবিধা পাও, তবে একবার দূরবীণ দিয়া শুক্রকে দেখিয়া লইও।

 শুক্রের মত উজ্জ্বল নক্ষত্র সমস্ত আকাশটাতে খুঁজিয়া পাওয়া যায় না। জ্যোতিষীরা হিসাব করিয়া দেখিয়াছেন, আকাশের যে-সব নক্ষত্র খুব উজ্জ্বল তাহাদের কুড়ি পঁচিশটা একত্র না করিলে উজ্জ্বলতা