পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৯৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

শনির চাঁদ

যেমন শনি তার চাঁদও তেমনি। দশটা চাঁদ তাহার চারিদিকে ঘুরিতেছে। কয়েক বৎসর আগে আমরা ইহার কেবল আটটি চাঁদের কথাই জানিতাম। অতি অল্প দিন হইল, বাকি দুটা চাঁদের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে।

 যে চাঁদটি সকলের চেয়ে বড়, তাহার নাম টাইটান্ (Titan)। ছোট দূরবীণ দিয়া যদি তোমরা শনিকে দেখ, তাহা হইলেও শনি হইতে একটু দূরে ইহাকে দেখিতে পাইবে। টাইটান্ নিতান্ত ছোট বস্তু নয়;—আমাদের চাঁদের চেয়ে অনেক বড়, এমন কি বুধ গ্রহের চেয়েও বড়। আকারে সে যেন একটা ছোটখাটো গ্রহবিশেষ। শনির কাছ হইতে প্রায় আট লক্ষ মাইল দূরে থাকিয়া সে ষোল দিনে এক একবার শনিকে ঘুরিয়া দিয়া আসে। বাকি চাঁদগুলির অনেকেই টাইটানের চেয়েও দূরে দূরে আছে; আবার দুই-একটা কাছেও আছে। ইহাদের মধ্যে কোনো কোনোটি আমাদের চাঁদের চেয়ে ছোট।

 তোমাদিগকে আগেই বলিয়াছি, সূর্য্যের রাজ্যে গ্রহ-উপগ্রহেরা একটুও এলোমেলোভাবে চলা-ফেরা করে না। সূর্য্যকে ঘুরিবার সময়ে পৃথিবী যে পাকে ঘুরে, নিজের মেরুদণ্ডের চারিদিকে পাক খাইবার সময়েও সে ঠিক্ পাকেই ঘুরে। বৃহস্পতি শুক্র শনি প্রভৃতি গ্রহেরা কোন্ পাকে ঘুরিতেছে যদি পরীক্ষা করা যায়, সেখানেও ঐরকম ঐক্য দেখা গিয়া থাকে। পৃথিবী যে পাকে ঘুরিতেছে, ইহাদের প্রত্যেকেই ঠিক্ সেই পাকে ঘুরে। কেবল ইহাই নয়, উপগ্রহদের চলাফেরাতেও তোমরা ঠিক্ ঐ নিয়মই দেখিতে পাইবে। এই-সব লক্ষণ দেখিয়াই জ্যোতিষীরা