পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২২৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

ধূমকেতুর আকৃতি-প্রকৃতি

হ্যালির ধূমকেতুর গল্প বলিতে অনেক সময় কাটিয়া গেল। এখন ধূমকেতুদের আকৃতি-প্রকৃতি সম্বন্ধে কয়েকটি কথা তোমাদিগকে বলিব।

 আকৃতির কথা জিজ্ঞাসা করিলে জ্যোতিষীরা বলেন, ধূমকেতুদের নির্দ্দিষ্ট আকৃতি নাই। খুব ছোট ছোট জড়কণা দিয়া তাহাদের দেহ প্রস্তুত, সুতরাং তাহাদের স্থায়ী আকার কেমন করিয়া থাকিবে? এক গাদা বালির আকৃতি কি রকম তোমরা বলিতে পার কি? কখনই পার না। বালিগুলিকে যখন ঝুড়িতে বোঝাই দেওয়া যায়, তখন আকৃতি ঝুড়ির মত হয়; বাল্‌তিতে বোঝাই দিলে বাল্‌তির মত হয়। ধূমকেতুদের অবস্থা ঠিক্ সেই প্রকার। অবস্থাবিশেষে একই ধূমকেতুর নানা আকৃতি হয়। সূর্য্য হইতে যখন দূরে থাকে তখন তাহাদের লেজ থাকে না; সূর্য্যের কাছে আসিতে আরম্ভ করিলে এক একটু করিয়া লেজ বাহির হইতে থাকে। তার পরে সূর্য্যের খুব কাছে আাসিলে, লেজ খুব লম্বা হয়। শেষে তাহারা যখন সূর্য্য হইতে দূরে যাইতে আরম্ভ করে, তখন লেজগুলিও আপনা হইতে গুটাইয়া আসে; খুব দূরে গেলে লেজের চিহ্নমাত্র খুঁজিয়া পাওয়া যায় না। একই ধূমকেতুর ক্ষণে ক্ষণে এই রকম পরিবর্ত্তন দেখিয়াই জ্যোতিষীরা বলেন, পৃথিবী বৃহস্পতি শনি প্রভৃতি গ্রহদের যেমন এক-একটি নির্দ্দিষ্ট আকৃতি আছে, ধূমকেতুদের তাহা নাই। সকলেরই এক একটা মুণ্ড থাকে এবং সময়ে সময়ে ঐ মুণ্ড হইতে লেজ গজাইয়া উঠে,—ইহাই তাহাদের আকৃতি।