পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৪২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৯২
গ্রহ-নক্ষত্র

 বৎসরের তিন শত পঁইষট্টি দিনের মধ্যে কেন চার পাঁচটি তারিখে বেশি বেশি উল্কাপাত হয়, এখন তোমাদিগকে তাহার কারণ বলিব।

 তোমাদিগকে আগেই বলিয়াছি, প্রত্যেক উল্কাপিণ্ড গ্রহদের মত এক-একটা নির্দ্দিষ্ট পথে সূর্য্যকে ঘুরিয়া আসে। ইহাদের সকলেই পৃথক্ পৃথক্ থাকিয়া একা একা চলে না, লক্ষলক্ষ কোটিকোটি উল্কাপিণ্ড পাখীর ঝাঁকের মত দল বাঁধিয়াও ঘুরিয়া আসে।

 মনে কর, পৃথিবী তাহার নিজের পথে ঘুরিতে ঘুরিতে একদিন ঐ রকম এক উল্কাপিণ্ডের ঝাঁকের কাছে উপস্থিত হইল। সে দিন কি হইবে বলিতে পার কি? লক্ষলক্ষ উল্কা সে দিন পৃথিবীকে ঘিরিয়া থাকিবে এবং পৃথিবী তাহাদিগকে টানিয়া মাটিতে ফেলিতে চেষ্টা করিবে। কাজেই সেদিন পৃথিবীতে একটা উল্কাবৃষ্টি দেখা যাইবে।

 বৎসরের বিশেষ বিশেষ দিনে কেন এত উল্কাপাত হয়, এখন বোধ হয় তোমরা নিজেরাই বলিতে পারিবে। পৃথিবী তাহার নিজের নির্দ্দিষ্ট পথে ঘুরিতে ঘুরিতে ঐ কয়েক দিনে এক একটা উল্কার ঝাঁকের ভিতরে গিয়া পড়ে, তাই এত উল্কাবৃষ্টি।

 উল্কাদের ঝাঁক কোন্ পথে ঘুরিতেছে জ্যোতিষীরা তাহা ভাল করিয়া জানেন। কাজেই ঠিক্ কোন্ তারিখে পৃথিবী ঐসব ঝাঁকের মাঝে গিয়া দাঁড়াইবে, তাহা ইঁহারা হিসাব করিয়া বলিয়া দিতে পারেন। এই হিসাব হইতেই উল্কাবর্ষণের তারিখ আমরা ঠিক্ জানিতে পারি।

 তোমাদিগকে আগেই বলিয়াছি প্রতি বৎসরে ২৭শে নভেম্বর তারিখে পৃথিবীতে একটা উল্কাবৃষ্টি হয়। এসম্বন্ধে একটা বড় আশ্চর্য্য কথা জ্যোতিষীদের কাছে শুনা যায়।

 পঞ্চাশ বৎসর আগে জ্যোতিষীরা নভেম্বর মাসে কতদিন আকাশ পর্য্যবেক্ষণ করিয়াছেন, কিন্তু কোনো বৎসরেই তাঁহারা ২৭শে তারিখে