পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নীহারিকা

তোমরা বোধ হয় নীহারিকা দেখ নাই। ইহা আকাশের এক অদ্ভুত জিনিস। দূরবীণ ছাড়া এগুলিকে প্রায়ই দেখা যায় না; হঠাৎ দেখিলে মনে হয়, যেন দূরবীণের ভিতরে একখানি সাদা উজ্জ্বল মেঘ দেখা যাইতেছে। কিন্তু এগুলি যে মেঘ নয় বা দূরের নক্ষত্রদের লেপা আলো নয়, তাহা বেশ বুঝা যায়। বহু দূরে কোটি কোটি মাইল জায়গা জুড়িয়া যে বাষ্পরাশি জ্বলিতেছে, তাহাকেই আমরা উজ্জ্বল মেঘের মত দেখিতে পাই। তরল বা বাষ্পীয় জিনিদের কোনো নির্দ্দিষ্ট আকার থাকে না। নীহারিকার সর্ব্বাঙ্গে কেবল বাষ্প বা খুব ছোট ছোট জড়কণাই থাকে, এজন্য তাহাদের সকলকে একই নির্দ্দিষ্ট আকারে দেখা যায় না। কোনোটির আকার লম্বা, কোনোটি আংটির মত গোল, কোনোটি ইস্‌ক্রুপের পেঁচের মত। কিন্তু এই সব আকার দেখিলে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, নীহারিকাদের দেহের বাষ্পরাশি স্থির হইয়া নাই। ঝড়ের বাতাস যেমন ছুটাছুটি করে, ইহাদের দেহের বাষ্পরাশি ও জড়পিণ্ড যেন সেই রকমেই ছুটাছুটি করিতেছে ও ঘুরপাক্ খাইতেছে।

 এখানে আমরা দু’টি নীহারিকার ছবি দিলাম। প্রথমটি এন্‌ড্রোমিডা রাশির নীহারিকা। আকৃতি দেখিলেই বুঝিবে, যেন ইহার দেহের বাষ্পরাশি প্রচণ্ড বেগে এক গোলাকার পথে পাক্ খাইতেছে। ইহা আকাশের যে পরিমাণ জায়গা জুড়িয়া আছে, তাহাতে আমাদের সূর্য্যের রাজ্যের মত অন্ততঃ দু’হাজার রাজ্য অনায়াসে থাকিতে পারে!