পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নক্ষত্র চেনা
২৩১

ভাগকে এক-একটা নক্ষত্রমণ্ডল বা রাশি বলেন। তার পরে প্রত্যেক ভাগের কোথায় কোন্ নক্ষত্রটি আছে, আকাশের ম্যাপে লিখিয়া রাখেন এবং বড় বড় নক্ষত্রদের এক-একটা নামও দেন। কেহ নক্ষত্র চিনিতে গেলে, তাঁহারা আকাশে সেই নক্ষত্র-মণ্ডলগুলিকে দেখান এবং তাহাদের মধ্যে যে-সব নক্ষত্র আছে তাহাদের নাম শিখাইয়া দেন।

 পৃথিবীকে কি রকমে ভাগ করা হয়, তোমরা ভূগোলে তাহা পড়িয়াছ। এক এক রাজা যে জায়গাটুকুতে রাজত্ব করেন, সেই জায়গাগুলিকে প্রায়ই এক একটা দেশ বলা হয়। যেমন এ অঞ্চলে ইংরাজ যেটুকুতে রাজত্ব করেন, তাহা ভারতবর্ষ; কাবুলের আমীর যে অংশের রাজা তাহা আফগানিস্তান্; মিকাডো যেটুকু শাসন করেন, তাহা জাপান। কিন্তু আকাশে ত আর এ-রকম রাজা নাই এবং রাজ্যও নাই; কাজেই জ্যোতিষীরা আর এক রকমে আকাশকে ভাগ করিয়াছেন।

 নক্ষত্রগুলিকে তোমরা যদি কিছুক্ষণ ভাল করিয়া দেখিতে পার, তাহা হইলে দেখিবে, এক জায়গার কতকগুলি নক্ষত্র মিলিয়া যেন একগাছি মালার মত হইয়া রহিয়াছে। আর এক জায়গায় হয় ত দেখিবে, নক্ষত্রে নক্ষত্রে মিলিয়া যেন বেশ একটা তিন কোণা বা চারি কোণা জিনিস হইয়া দাঁড়াইয়াছে। শরৎকালে যখন সাদা মেঘ আকাশে ভাসিয়া বেড়ায়, তখন মেঘে কত রকম আকৃতি কল্পনা করা যায় দেখ নাই কি? একটা মেঘকে হয় ত ঠিক্ হাতীর মত দেখা গেল, কিছুক্ষণ পরে তাহা একটা গোরু বা বুড়ো মানুষের মত হইয়া দাঁড়াইল। এ-রকম মেঘের খেলা অনেক সময়েই দেখা যায়। জ্যোতিষীরা আকাশের নক্ষত্রদের লইয়া ঐ রকমই এক-একটা অদ্ভুত আকৃতির কল্পনা করিয়া থাকেন।

 তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে, আকাশে রাজা বা রাজ্য না