পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নক্ষত্র চেনা
২৪৫

নক্ষত্রের আকারে আকাশে ভাসিয়া রহিল। গ্রীস্ দেশের লোকেরা বলে, ঐ ছয়টি নক্ষত্রই একত্র হইয়া আজও আকাশে রহিয়াছে। ইহারাই আমাদের “সাতভাই” অর্থাং কৃত্তিকা-রাশি। আর সেই ব্যাধটিই কালপুরুষ। এইজন্যই ইংরাজিতে কালপুরুষকে আজও ওরায়েন্ বলা হয়।

 কালপুরুষ আকাশে উঠিয়া বাস করিতে আরম্ভ করিলে, তাহার পোষা শিকারী কুকুরটাকে ছাড়িতে পারে নাই। ইহাও এখন একটা নক্ষত্র-মণ্ডল হইয়া আকাশে আছে। ছবিতে কুকুর-মণ্ডল তোমরা দেখিতে পাইবে। ইহার মাঝে যে উজ্জ্বল তারাটি রহিয়াছে, তাহাকে চিনিতে তোমাদের কষ্ট হইবে না। এই নক্ষত্রকে ইংরাজিতে সিরিয়স্ (Sirius) বা ডগ্-ষ্টার অর্থাৎ কুকুর-নক্ষত্র বলা হয়। আমাদের দেশের প্রাচীন জ্যোতিষীরা ইহার নাম দিয়াছেন “লুব্ধক”। লুব্ধকের চেয়ে উজ্জ্বল তারা সমস্ত আকাশেও খুঁজিয়া মিলে না। কিন্তু ইহা অনেক দুরের নক্ষত্র,—ইহার আলো পৃথিবীতে পৌঁছিতে পথের মাঝে সাত আট বৎসর কাটাইয়া দেয়। ভাবিয়া দেখ লুব্ধক কত দূরে আছে। আগে তোমাদিগকে যে রোহিণী (Aldebern) নক্ষত্রের কথা বলিয়াছি, তাহা আরো দূরে আছে। ইহার আলো বত্রিশ বৎসরে পৃথিবীতে পৌঁছায়!

 যাহা হউক আমরা যে ছবি দিলাম, তাহার সহিত আকাশের নক্ষত্রদের মিলাইয়া তোমরা লুব্ধককে চিনিয়া লইতে পারিবে।

 অনেক নক্ষত্র-মণ্ডলের কথা বলা হইল। ইহা বুঝিয়া ও ছবি দেখিয়া তোমরা উত্তর আকাশের নক্ষত্রমণ্ডলগুলিকে চিনিতে পারিবে। এই রকম চেনা-পরিচয় হইলে তোমরা যদি নক্ষত্রদের একখানা ভাল মানচিত্র হাতে পাও, তাহা হইলে আকাশের অপর অংশের মণ্ডলগুলিকে চিনিতে তোমাদের একটুও কষ্ট হইবে না।