পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমাদের জ্যোতিষ
২৫৫

পোহাইতে পারিবে। কিন্তু চৈত্র বৈশাখ মাসে রোদ বারান্দায় পড়িবে না, তখন সূর্য্যকে ঠিক্ মাথার উপর দিয়া পশ্চিমে যাইতে দেখিবে।

 তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে, চাঁদ যেমন অমাবস্যার পর হইতে দিনে দিনে আকাশের নক্ষত্রদের ভিতর দিয়া চলে, সূর্য্যও সেই রকম আাকাশের নানা স্থানে জায়গা বদ্‌লাইতে বদ্‌লাইতে চলে। দিনের আলোতে নক্ষত্রদের দেখা যায় না;—দেখা গেলে স্পষ্ট বুঝিতে পারিতে সূর্য্য চাঁদের মতই নানা নক্ষত্রমণ্ডলের ভিতর দিয়া চলা-ফেরা করে।

 তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে, আকাশের নক্ষত্র-মণ্ডলদের উপর দিয়া চাঁদের যেমন একটা পথ আছে, সূর্য্যেরও সেই রকম পথ আছে। তফাতের মধ্যে এই যে, চাঁদ সাতাইশ নক্ষত্রদের উপর দিয়া সাতাইশ দিনে একবার চক্র দেয়, সূর্য্য ঐ রকম একটা চক্র দিতে এক বৎসর অর্থাৎ তিনশত পঁইষট্টি দিন সময় লয়।

 তোমরা এই কথা শুনিয়া বোধ হয়, একটু গোলযোগে পড়িতেছ। চাঁদ সাতাইশ দিনে পৃথিবীকে ঘুরিয়া আসে, কাজেই সে ঐ সময়ে সাতাইশ নক্ষত্রদের উপর দিয়া চলে। একথা বেশ বুঝা যায়। কিন্তু সূর্য্য ত পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরপাক্ খায় না; তবে কেন তাহাকে আকাশের নক্ষত্রদের উপর দিয়া তিনশত পঁইষট্টি দিনে চক্র দিতে দেখা যাইবে?

 এই প্রশ্ন তোমাদের মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক। যখন তোমাদের মত ছোট ছিলাম, তখন আমরাও ব্যাপারটি ভাল করিয়া বুঝিতাম না। একটা উদাহরণ দিলে বোধ হয় বুঝিবে।

 পর পৃষ্ঠায় একটা ছবি দিলাম। দেখ, ছবির মাঝে একটা ছোট মন্দির রহিয়াছে এবং মন্দিরটিকে ঘিরিয়া একটা গোল রাস্তা আছে। ঘরবাড়ী গাছপালা সবই রাস্তার বাহিরে দূরে দূরে আছে।

 এখন মনে কর, তুমি যেন ছবির বট গাছের কাছ হইতে গোলাকার