পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৬০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৮
গ্রহ-নক্ষত্র

মত অন্য যন্ত্রাদিও ছিল না। তথাপি আমাদের পূর্ব্বপুরুষেরা যে কি রকমে এই সব হিসাব-পত্র করিতেন, তাহা ভাবিলে অবাক্ হইতে হয়। যাহা হউক, আজও পৃথিবীর অনেক দেশে এমন অসভ্য-জাতি আছে, যাহারা চন্দ্র-সূর্য্যের গ্রহণ ভয়ের চোখে দেখিয়া ভাবে, বুঝি কোনো দৈত্য-দানবেই চন্দ্রসূর্য্যকে ঢাকিয়া ফেলে।

 আচ্ছা, সূর্য্য-গ্রহণ কি রকমে হয় তোমরা বলিতে পার কি? গ্রহণের সময়ে সূর্য্য যে ঢাকা পড়িয়া যায় একথা ঠিক, কিন্তু কে সূর্য্যকে ঢাকে এবং কি রকমে ঢাকে, এসব কথা তোমরা জান কি? যেমন ছাতা দিয়া আমরা সূর্য্যক ঢাকি বা হাতের তেলো দিয়া সূর্য্যের আলো রোধ করি, ইহা যেন সেই রকমেরই ঢাকা-পড়া। একখানা কালো মেঘ ভাসিয়া আসিয়া কি রকমে সূর্য্যকে সম্পূর্ণ ঢাকিয়া ফেলে, বা তাহার আধখানা ঢাকিয়া রাখে, তাহা তোমরা দেখিয়াছ। এই রকমে সূর্য্য ঢাকা পড়িলে, তাহার তেজ থাকে না, চারিদিক অন্ধকার হইয়া যায়। সত্য সত্যই, এই রকমে কিছু দিয়া ঢাকা পড়িলে সূর্য্যের গ্রহণ হয়। আকাশের মত উঁচু জায়গায় কেহ ত ছাতা খুলিয়া সূর্য্যকে ঢাকিতে পারে না, মেঘের দ্বারাও এ কাজটি হইবার নহে; কারণ সূর্য্য-গ্রহণের সময়ে মেঘ দেখা যায় না এবং আবার গ্রহণের অন্ধকারটাও মেঘের ছায়ার মত একটুখানি স্থান জুড়িয়া থাকে না। কাজেই মানিয়া লইতে হয়, আকাশের উঁচু জায়গায় কোনো একটা বড় জিনিস ধীরে ধীরে আসিয়া সূর্য্যকে ঢাকিয়া ফেলে। কিন্তু জিনিসটা কি?

 তোমরা যেমন মনে মনে ভাবিতেছ, কোনো প্রকাণ্ড জিনিস সূর্য্য ও পৃথিবীর মাঝখানে আসিয়া সূর্য্যকে ঢাকিয়া দেয়, অনেক দিন আগে আমাদের দেশের বড় বড় পণ্ডিতেরাও তোমাদের মত মনে মনে এই কথাই ভাবিয়াছিলেন। কেবল ভাবিয়াই তাঁহারা ক্ষান্ত হন নাই, বার-বার সূর্য্য-গ্রহণ পরীক্ষা করিয়াছিলেন এবং কত অঙ্ক কষিয়া হিসাব-পত্র