পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৮৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬২
গ্রহ-নক্ষত্র

দূরবীণে চোখ লাগাইয়া চাঁদ বা অপর গ্রহদিগকে দেখিলে, সেগুলিও ঐ রকমেই বড় দেখায়। এজন্য খালি চোখে আকাশের যে-সব জিনিসকে দেখা যায় না, দূরবীণ দিয়া দেখিলে তাহাদিগকে দেখা যায়। যদি তোমরা একটা ছোট দূরবীণ হাতের গোড়ায় পাও, সকলের আগে একবার চাঁদকে দেখিয়া লইও। এমন আশ্চর্য্য দৃশ্য আর কখনো দেখিবে না!

 আজকালকার দিনে সকলের চেয়ে যে বড় দূরবীণ আছে, তাহা দিয়া দেখিলে দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার মাইল দূরে না থাকিয়া কেবল চল্লিশ মাইল দূরে থাকিলে চাঁদ যেমনটি দেখাইত, ঠিক সেই-রকমই বড় দেখায়। চল্লিশ মাইল দূরের জিনিস কত কাছে থাকে মনে করিয়া দেখ। দূরবীণ দিয়া দেখিয়া চাঁদকে আমরা ঠিক সেই-রকম কাছে পাইয়াছি। ইহাতে চাঁদের উপরকার সব খবর জানিবার শুনিবার খুব সুবিধা হইয়াছে। পৃথিবীর উপরে এখনো অনেক জায়গা আছে, যেখানে মানুষ যাইতে পারে নাই, কাজেই সেখানে কোথায় সমুদ্র আছে, কোথায় পাহাড় আছে এবং সেখানকার জীবজন্তু গাছ-পালা কি-রকম, এ সব আমরা জানিতে পারি নাই। পৃথিবীর উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু এই রকমের অজানা দেশ। সেখানকার ভয়ানক শীতে ও বরফ ঢাকা সমুদ্রে মানুষ যাইতে পারে নাই; কাজেই সেখানকার সকল অবস্থাও জানা যায় নাই। কিন্তু চাঁদের যতটা পৃথিবী হইতে দেখা যায়, তাহার সকল অবস্থাই জ্যোতিষীদের জানা আছে। পৃথিবীর কোথায় কোন্ সমুদ্র, কোথায় কোন্ পর্ব্বত আছে, আমরা ম্যাপে তাহা আঁকিয়া রাখি। জ্যোতিষীরা চাঁদেরও সেই রকম ম্যাপ্ আঁকিয়াছেন, এবং সেখানকার পাহাড় পর্ব্বত সমুদ্রের এক-একটা নামও দিয়াছেন।

 তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে, দেখিবার শুনিবার জিনিস চাঁদে অনেক আছে। বড় দূরবীণ দিয়া দেখিলে চাঁদকে যে-রকম দেখায়,