নাড়িয়া নিজের নবীন প্রফুল্ল পক্ষ
যৌবন ও হর্ষ ভাবে পূর্ণ সুরভিত
শান্তি ভাণে ভুলাইছে মম ক্ষিন্ন বক্ষ
হানিয়া বসন্ত যেন করিছে হ্লাদিত॥
তৎপরে চাবি আনিয়া সদরবাটীর ঘরগুলি খুলিয়া দেখিতে আরম্ভ করিলাম। ইহা দেখিবার সময় পূর্ব্বের যে কত কথা স্মৃতিপথে উদিত হইল তাহা কি বলিব? বাহিরের দুইটী ঘর পাকা হইবার পূর্ব্বে আমার বাল্যকালে তথায় আটচালা ছিল। সেই আটচালার কথা মনে পড়িল। সেই আটচালার উত্তর বিভাগের উত্তর পশ্চিম কোণে রাধামোহন ঘোষ একটী টুলের উপর বসিয়া থাকিতেন। রাধামোহন ঘোষজা মহাশয় অতি সদাশয় অমায়িক উদার স্বভাব লোক ছিলেন, দোষের মধ্যে এই যে পাশা খেলিবার সময় তিনি এক এক বার অত্যন্ত রাগিয়া উঠিতেন। এমনি রাগিয়া উঠিতেন যে একবার তাঁহার প্রতিদ্বন্দীকে এমনি জোরে চড় মারিয়াছিলেন, যে তাহাতে তাহার মৃত্যু হয়। এইরূপ এক চড়ে লোকের মৃত্যু হয় ইহা অভাবনীয় কিন্তু এইরূপ ঘটিয়াছিল। ইহাতে যে মোকদ্দমা উপস্থিত হয় তাহাতে ঘোষজা মহাশয় সর্ব্বস্বান্ত হইয়া আমাদিগের বাটীতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। আমরা ছেলেবেলা তাঁহার তেফুকুরে দালানওয়ালা বাটী জঙ্গলপরিপূর্ণ অবস্থায় দেখিয়াছি, এক্ষণে তাহার