স্ত্রীর অলঙ্কার ভারতবর্ষের সেবিংস ব্যাঙ্ক বলিলে অত্যুক্তি হয় না।
কমলাকান্ত সার্ব্বভৌম বাদল গ্রামের লোক দ্বারা প্রাতঃস্মরণীয় লোক বলিয়া গণ্য হইয়া থাকেন। এরূপ ব্যক্তি যে প্রাতঃস্মরণীয় বলিয়া গণ্য হইবেন তাহার বিচিত্র কি? বঙ্গদেশের সে কালের সামাজিক ইতিবৃত্তে, ঔদার্য্য ও বদান্যতার ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত প্রাপ্ত হওয়া যায় তথাপি কমলাকান্ত সার্ব্বভৌমের অবস্থা বিবেচনা করিলে ইতিবৃত্ত্বেও তাঁহার ন্যায় বদান্যতা ও ঔদার্য্যের দৃষ্টান্ত বিরল।
বৈদ্যনাথ সার্ব্বভৌম।
ইনি একজন কবি ও নৈয়ায়িক ছিলেন। ইনি এরূপ কবিত্বশক্তিসম্পন্ন ছিলেন যে একদা কোন রাজার রাজসভায় রাজার প্রতি প্রদক্ষিণে তৎক্ষণাৎ একটী একটী নূতন কবিতা রচনা করিয়া স্তব করিতে লাগিলেন। ইহাতে রাজা ও তাঁহার সঙ্গে সমাগত পণ্ডিতমণ্ডলী সকলেই আশ্চর্য্য হইলেন। সার্ব্বভৌম-মহাশয় এক খানি সংস্কৃত গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন। এক সময় তাঁহার কোন ছাত্র তাঁহার অজ্ঞাতে পুস্তক খানি লইয়া বিখ্যাত রামদুলাল সরকারের নিকট বিক্রয় করিতে যান। তথায় দুই এক জন পণ্ডিত উহাতে ব্যাকরণ ভুল ধরিয়া রামদুলাল সরকারকে পুস্তক খানি ক্রয় করিতে নিষেধ