সার রাজা রাধাকান্ত দেবের শব্দকল্পদ্রুমের পরিশিষ্টের প্রথমে তাঁহার একটা সংস্কৃত জীবনচরিত আছে তাহাতে এক স্থানে লিখিত আছে, “লর্ডনেচ তথা লেডীং[১] ক্যানিঙ্গেন বিশেষতঃ” আর এক স্থানে লিখিত আছে, “ততঃ সর হবর্টমেডাক ডেপিউটী গবর্ণর।”[২] সার্ব্বভৌম মহাশয় যদি সংস্কৃতে ইংরাজমাহাত্ম্য লিখিতেন তাহা হইলে তাহা এইরূপ শ্লোকে পরিপূর্ণ হইত সন্দেহ নাই। যদি ভট্টাচার্য্য মহাশয় উক্ত গ্রন্থ রচনা করিতেন তাহা হইলে তাহা হইতে প্রকৃত ইংরাজমাহাত্ম্য আমরা জানিতে পারিতাম না। যদি আমাদিগের পাঠক বর্গ প্রকৃত ইংরাজমাহাত্ম্য জানিতে চান তাহা হইলে “Torren’s Indian Empire, how we come by it” দেখুন। তাহাতে যেমন ইংরাজমাহাত্ম্য বর্ণিত আছে এমন অন্য কোন গ্রন্থে নাই। উহাতে ইংরাজেরা কি উপায়ে ভারতবর্ষ করায়ত্ত করেন, তাহা বিলক্ষণরূপে বিবৃত আছে। উঠা পাঠ করিলে পাঠকবর্গ ইংরাজমাহাত্ম্য যেরূপ জানিতে পারিবেন এমন অন্য কোন গ্রন্থ পাঠ করিলে পারিবেন না।
রামনিধি তর্কবাগীশ।
ইনি ১০৫ বৎসর পর্য্যন্ত জীবিত ছিলেন। এত বয়সেও ইহাঁর মেধাশক্তি এতদূর প্রবলবতী ছিল যে কোন ব্যক্তি