পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০২
গ্ৰাম্য উপাখ্যান।

তাঁহার নিকট ব্যবস্থা জানিতে আসিলে তিনি স্বীয় পুত্রকে বলিতেন, “ওহে! অমুক পুস্তকের অমুক পৃষ্ঠায় অমুক শ্লোকটী দেখিয়া ব্যবস্থা দেও।” তিনি এতদূর অধ্যয়নপ্রিয় ছিলেন যে ৭০।৭৫ বৎসর বয়সেও পুঁথি হাতে প্রত্যহ গ্রাম হইতে আড়াই বা তিন ক্রোশ দূরবর্ত্তী কালিঘাটে আসিয়া কোন দণ্ডীর নিকট বেদান্ত অভ্যাস করিতেন।

ষষ্ঠী ন্যায়লঙ্কার।

 আমরা উপরে যে কতকগুলি প্রকৃত বিদ্বান ব্যক্তির বিবরণ দিলাম ষষ্ঠী ন্যায়লঙ্কার তাহার সম্পূর্ণ বিপরীত ছিলেন। তিনি একটা নিরেট মূর্খ ও মানবীয় সামান্য জ্ঞান বর্জ্জিত ছিলেন, কিন্তু তাঁহার কপালের দীর্ঘ ফোঁটা ও অন্যান্য আড়ম্বর দেখিলে বোধ হইত যেন তিনি একজন প্রকাণ্ড পণ্ডিত। তিনি নিরেট মূর্খ হইয়া কি প্রকারে ন্যায়লঙ্কার উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন তাহা আমরা বলিতে পারি না। ন্যায়লঙ্কার মহাশয় ছেলেবেলা অত্যন্ত আব্দারে ছেলে ছিলেন। ছেলেবেলা তিনি একদিন রাত্রি দ্বিপ্রহরের সময় চিনির পানা খাইবার বায়না করেন। ঘরে চিনি ছিল না, ষষ্ঠীর পিতা কি করেন ঠন্‌ঠনের হাটে গিয়া চিনি আনিয়া পানা করিয়া ষষ্ঠীকে তাহার কিয়দংশ দেন। আর অবশিষ্ট আপনি পরদিন পান করিবেন বলিয়া রাখিয়া দেন। ষষ্ঠী তখন আবার বায়না করিলেন যে বাবা ঐ