একটা মন্দির আছে। দুর্গামোহন মুখোপাধ্যায় পাড়ার কতিপয় বালককে টটাটিটি ইংরাজী শিখাইবার জন্য স্কুলমাষ্টার নামে খ্যাত ছিলেন। তিনি যেমন স্কুলমাষ্টার ছিলেন তেমনি জেলে ও ছিলেন। মাছ ধরিতে তিনি বড় ভাল বাসিতেন। তিনি এই দুই পরস্পর অসম বৃত্তি আপনাতে সংযোগ করিয়ছিলেন। ইনি একবার আমাদিগকে বলিয়াছিলেন যে তিনি একবার ডোঙ্গা করিয়া ঐ দিঘির মধ্যস্থানে কেঁচা দিয়া যেমন মাছ বিদ্ধ করিতে যাইবেন অমনি কেঁচার অগ্রভাগ সেই মন্দিরের ছাদের উপর ঠন্ করিয়া লাগিয়াছিল। ঐ দিঘির এক দিকের উপকূলে জঙ্গল মধ্যে ত্রিপুরা সুন্দরীর মঠ নামে একটী মন্দির ছিল। এক্ষণে তাহার ভগ্নাবশেষ অতি অল্পই আছে। দিঘির উত্তরে একটী নীলকুঠি ছিল। এই নীলকুঠির সাহেবের সহিত বাদলগ্রামের লোকের একবার বিবাদ হয় তাহাতে নীলকুঠির সাহেব অশ্বারূঢ় হইয়া নিজ সৈন্য সামন্ত লইয়া বাদল গ্রাম আক্রমণ করেন, তাহাতে বাদল গ্রামের লোকেরা তাঁহাকে উত্তম মাধ্যম দেয়। মার খাইয়া সাহেবের পো ভূমিসাৎ হয়েন এবং তাঁহার নাক্ দিয়া ভল ভল করিয়া রক্ত বাহির হয়। আমাদিগের যৌবনকালে হেনসন্ নামে এক সাহেব এই কুঠির কর্ত্তা ছিলেন। তাঁহার সহিত এক দিন কথোপকথনের সময় ইংলণ্ডের লর্ডদিগের কথা উঠিলে তিনি বলিলেন “The Lords of England
পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্ৰাম্য উপাখ্যান।
৭
