পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্ৰাম্য উপাখ্যান।
৩৩

লোকে কখন মনে করিতে পারিত না যে উক্ত রোগগ্রস্ত ব্যক্তির কোন পীড়া আছে। বেশ খাচ্চে, দাচ্চে, বেড়াচ্চে, পুষ্ট হইতেছে কিন্তু রোগ আছে। অতএব এপ্রকার পীড়ার সহিত লোকের সহজে সহানুভূতি হয় না, কিন্তু তজ্জন্য যন্ত্রণা কম হয় না। এইরূপ পীড়াগ্রস্ত কোন ব্যক্তির বন্ধু তাঁহাকে বলিয়াছিলেন তোমার পীড়া কল্পনা-মূলক, বাস্তব পীড়া নহে। তাহাতে তিনি উত্তর করিয়াছিলেন যে, দার্শনিক বিচার দ্বারা প্রমাণ করা যাইতে পারে যে কেবল এরোগ কেন সমস্ত জগৎই কল্পনা-মূলক। আমরা উপরে বলিয়াছি যে, এ রোগের বিলক্ষণ যন্ত্রণা আছে। এই রোগাক্রান্ত আমাদিগের কোন গুরুজন বলিতেন, যে অতি বড় শত্রুর যেন এ পীড়া না হয়। কোন কোন অপ্রকৃত কবি যে পদ্য লিখেন, তাহা প্রকৃত পদ্য নহে, তাহা পাগলাগদ্য(Prose run mad) কিন্তু কোন কোন ব্যক্তি আদৌ পদ্য লিখেন না, কেবল গদ্য লিখেন। কিন্তু তাঁহারা প্রকৃত কবি। গদ্যে প্রকৃত কবিতার একটা দৃষ্টান্ত ফরাসিস ভাষায় ফেনেল রচিত টেলিমেকস। বাদল গ্রামে একটী কবি জন্মিয়াছেন। তাঁহার নিজের মতে না হউক অন্য অনেকের মতে তিনি পদ্য না লিখিয়াও প্রকৃত কবি। তিনি নিজে এই রোগগ্রস্ত। তিনি এই রোগের যন্ত্রণা বিষয়ে একটী সুন্দর আখ্যায়িকা বানাইয়াছেন সে আখ্যায়িকাটী এই,—ব্রহ্মা