পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెby ुौक ७ छिन्नू । হইলে ৰাঞ্ছারাম, বলিতে পার কি, গ্রীসের স্তায় প্রকৃতিবিশিষ্ট দেশের অধিবাসিবর্গ কিরূপ অবস্থাপন্ন হইবে ? ভাল, একবার দেখাই ৰাউক না কেন। প্রথমতঃ দেথিতে পাওয়া যাইতেছে যে, এরূপ স্বভাববিশিষ্ট দেশের প্রদেশসমূহ, পরস্পর পরস্পর সম্বন্ধে এরূপ বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থিতি করে যে, যেন কাহারও সঙ্গে কাহার সংস্রব নাই এবং সকলেই স্ব স্ব প্রধান ও স্বতন্ত্র। প্রদেশদ্বয়ের মধ্যে দুর্গম ব্যবধানের অভাবে, উভয় প্রাদেশিক অধিবাসীদিগের মধ্যে গতায়াতের সুগমতা এবং তাঁহা হইতে স্বতঃউৎপন্ন ঘনিষ্ঠত, এতৎস্থত্রে উভয়ে যেমন একস্থত্রে বদ্ধ এবং এবপ্রকৃতিবিশিষ্ট ও একধৰ্ম্মযুক্ত হইয়া, একজাতিত্বে পরিগণিত হয় ; এখানে, প্রদেশপরম্পরার ব্যবধানদুর্গমতা হেতু, তদ্রুপ গতায়াতের সুগমতা এবং তাঁহা হইতে উৎপন্ন ঘনিষ্ঠত এতদুভয়ের অভাব নিবন্ধন তেমন না হইয়া, প্রত্যেক প্রদেশ প্রথমকাল হইতেই স্বাতন্ত্র্যাবলম্বন পূৰ্ব্বক স্থাপিত ও বৰ্দ্ধিত হয়। পার্শ্ববৰ্ত্তী অপরাপর প্রদেশসমূহ, যেন ভিন্নসীমাবিশিষ্ট ভিন্ন দেশরূপে প্রতীয়মান হইয়া থাকে। প্রাদেশিক এইরূপ স্বাতন্ত্র্য হইতে, ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্যভঙ্গ এবং তদ্যুৎপন্ন অহঙ্কারবোধ প্রকৃষ্টরূপে বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে। বলা বাহুল্য যে, এতদ্রুপ কারণোৎপন্ন অহঙ্কারবোধ, ভাবী পার্থিব-গৌরবের ভিত্তিস্বরূপ হয়। দ্বিতীয়তঃ, গ্রীসের স্তায় প্রকৃতিবিশিষ্ট দেশের মধ্যে ভূমির উর্বরতা গুণ সৰ্ব্বত্র সমান নহে। কোন স্থানে স্থানীয় আবশ্বকাধিক জীবনোপায় বস্তুসমূহ উৎপাদিত হইয়া থাকে, আবার কোথায় বহুশ্রমেও যৎকিঞ্চিৎ পাওয়া দুষ্কর। অতএব লক্ষিত হইবে যে, কোন কোন প্রদেশ বহু লোকবৃদ্ধি সত্বেও, আহার প্রাচুর্য্যে অত্যন্ত স্বচ্ছলতাযুক্ত ; আবার কোন কোন প্রদেশকে হয়ত তদভাবে এককালে উপবাসে