পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব । ১৯৭ কর্তৃত্বভাব হইতে ক্রিয়াশীলতা, কৰ্ম্মপথে স্বাধীনতা ও তজ্জনিত বিবিধ কৰ্ম্মকাণ্ডের উদয় হয় । যাহা কৰ্ত্তব্যের পরিবোধক এবং যাহা কৰ্ম্মার্থে ক্রিয়াশীলতার প্ৰবৰ্ত্তক, তাহাকেই ধৰ্ম্ম বলা যায়। প্রকৃতির প্রয়োজনপূরক ও তদন্তকৃলতাসাধক কৰ্ম্মের যাহা বোধক ও প্ৰবৰ্ত্তক, তাহা সংধৰ্ম্ম । আর যদ্বারা তদ্রুপ কৰ্ম্মবোধের বিপৰ্য্যয় সাধন হয়, তাহা অসৎকৰ্ম্ম বা অধৰ্ম্ম । উভয়ভেদে উভয়তঃ সম্পাদিত কাৰ্য্যপরিণামকে পুণ্য ও পাপ বলা যায়। ভাল, এখন প্রকৃতি সম্বন্ধী অনুকূলতা ও প্রতিকুলতাভেদে এত তফাত বাদ হয় কেন ? যেমন জড়, তেমনি অজড়, তেমনি জ্ঞান ও বুদ্ধিবিশিষ্ট মনুষ্য সকলও, সৰ্ব্বপ্রকারে প্রকৃতির অংশস্বরূপ ; সুতরাং তাঁহাদের কৃত কাৰ্য্য যাহা তাহাও, প্রকৃতিগর্ভস্থ অপরাপর তাবৎ কাৰ্য্যের ন্যায়, প্রাকতিকক্ষেত্রে সংলগ্ন হয়। ভেদনিৰ্ব্বিশেষে সংলগ্ন হয় সকল কাৰ্য্যই ; কিন্তু উহার মধ্যে, যাহা প্রাকৃতিক সুতানলয়ের পোষক তাহাকেই প্রকৃতির প্রয়োজনপূরক বলা যায় ; আর যাহা তাহা নয়, তাহাকে তদ্বিপরীত ও অসৎ কৰ্ম্ম বলা গিয়া থাকে। প্রকৃতির অংশস্বরূপ বলিয়াই, প্রকৃতির নিকট মানবাদির বশুতা এবং প্রকৃতিও সেই নিমিত্ত তত্তাবৎকে সকল বিষয়ে তত্ত্বাভাস এবং ক্রিয়াভাস প্রদান করিয়া পাকেন। মানবে সেই সকল আভাস সঞ্চিত হইয়া বুদ্ধিরূপে প্রকটিত এৰং বুদ্ধির প্রতিপ্রসবে পুনঃ, কায়িক বাচিক ও মানসিক ত্রিবিধরপে কাৰ্য্যপ্রকরণ ও কার্য্য সকল উদ্ভাবিত ও কৃত হয়। সত্যরূপ প্রকৃতির সেই আভাস সকল সত্যস্বরূপ। মানব যদি সৰ্ব্বদা তাহ ভালরূপে বুঝিতে ও ঠিক তদনুরূপ চলিতে পারিত, তাহা হইলে প্রকৃতির সঙ্গে একতানত হেতু সে সৰ্ব্বদা অব্যর্থবাক্, অক্ষুঃকৰ্ম্ম এবং যথাপ্রয়োজন