পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

39ు গ্রীক ও হিন্দু। দ্বারা তাহার মধ্যে অসৎ যাহা তাহা নিরাকৃত হয়। আমরা দেখিতে পাই, মহাজ্ঞানী হইতে মহামূখ, সকলের মনেই, সং ও অসৎ উভয়বিধ চিন্তা নিয়ত যাতায়াত করিয়া থাকে। কিন্তু উহার মধ্যে প্রভেদ এই যে, অসৎচিন্তা যাহা তাহা মহাজ্ঞানীর মনে অনতিবিলম্বেই নিরাকৃত হয় ; তাহার কারণ, নীতির প্রভাব । আর মহামূর্থের মনে ?—তদ্বিপরীতে, অসং চিন্তা পোষিত এবং শেষে হয় ত কার্য্যে পৰ্য্যন্ত পরিণত হইয়াও থাকে ; ইহার কারণ, নীতির অভাব । নীতির অভাবকে অসংনীতি বা দুর্নীতি বলে । সংসারে সদসন্ময়ত হেতু, নীতির পাশ্বেও অসং নীতি আছে। নীতিরও বীজ বিশ্ববিধাতা কর্তৃক মানবে নিহত ; জ্ঞানের ত্র মোৎকর্ষতা সং পাশ্বচরভাবে পুষ্ণতা প্রাপ্ত ও প্রকটত হইতে থাকে। আধুনিক চলিত ভাষায় বুঝাইতে গেলে,নীতি ধৰ্ম্মসংসারে আইনস্বরূপ । উহার বাধ্যবধকতা স্বত্র, ক্ষেত্র দ্বিবিধ ;–এক সমাজসকাশে কৰ্ত্তব্যবুদ্ধি , অপর স্রষ্টাসকাশে কর্তৃব্যবুদ্ধি ; আত্মস্বার্থ তদুভয়েতেই কিছু কিছু জড়িত আছে। এই কৰ্ত্তব্যবুদ্ধিদ্বয়ই কেবল সং-নীতির প্রবর্তক। পরোক্ষ স্রষ্টা ও সমাজ উভয়কে পরিত্যাগ করিয়া, কৰ্ত্তবাবুদ্ধি যখন অপরোক্ষ আত্মস্বার্থে মুগ্ধ হয় ; তখনই কেবল নীতির সঞ্চার হইয়া থাকে। নীতি ভিন্ন জ্ঞান কোন কার্য্যে আইসে না এবং জ্ঞান ব্যতীত নীতিও দাড়াইতে পারে না । পুনশ্চ, প্রকৃতিও জ্ঞান ও নীতি ভিন্ন জড়বৎ কাৰ্য্যশূন্ত হইয়া থাকে। ফলতঃ এ তিনই তিনের পরস্পর এত সাপেক্ষতাযুক্ত যে, একটির অভাব হইলে আর দুইটি অস্তিত্বশূন্তবৎ প্রতীয়মান হয়। মানুষের স্বীয় স্বভাবকে প্রকৃতি বলা যায়। প্রতি মানুষের প্রকৃতি পৃথগ বিধ । যাহা জ্ঞানের দ্বারা ধারণাকৃত এবং নীতির দ্বার।