পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় 23 ( 1 `II নিয়মিত হয়, তাহাই প্রকৃতিযোগে কৰ্ম্মরূপে প্রকটত ও অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে। জ্ঞান যেমন নীতি দ্বারা নিয়মিত, নীতি যেমন জ্ঞানদ্বারা উন্নীত এবং জ্ঞান ও নীতির দ্বারা প্রকৃতি যেমন পরিমার্জিত হয়, তেমনি জ্ঞান ও নীতিও আবার প্রকৃতিবিশেষ-প্রভাবে স্বাতন্ত্র্যভাব প্রাপ্ত হইয়া থাকে। এই স্বাতন্ত্র্যভাব ব্যক্তিভেদে ব্যক্তিগত স্বধৰ্ম্ম এবং জাতিভেদে জাতিগত স্বধৰ্ম্ম নামে আখ্যাত হয় । খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম যদিও বহুলোকের অবলম্বিত ধৰ্ম্ম বটে, তথাপি কোন ব্যক্তিবিশেষ খৃষ্টানকে জিজ্ঞাস কর যে, সে খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম কিরূপ বুঝিয়াছে। নিশ্চয় বলিতেছি, তুমি তাহার বুঝার মধ্যে এমন একটু নৃতন ভাব দেখিতে পাইবে, যাহা অন্তেতে নাই। প্রতি ব্যক্তির বোধগত যাবতীয় বিষয়েতেই এইরূপ একটু নুতনত্ব আছে, যাহাকে কথিত ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্যভাব বা প্রকৃতিস্বাতন্ত্র্য বলা যায়। জাতিগত স্বাতন্ত্র্যভাবও তদ্রুপ এবং তাঁহারই প্রভাবে কোন এক সাধারণ ধৰ্ম্মের মধ্যে বহুতর সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম দৃষ্ট হয়। এমন কতকগুলি পূৰ্ম্মসম্বন্ধী সাধারণ বিষয়, যাহা যতগুলি লোকে সমপরিমাণে দৃষ্ট হয়, তাহার সমষ্টিকে সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম এবং সেই লোক সমষ্টিকে সম্প্রদায় বলা যায়। বহুসম্প্রদায়সমষ্টি পুনঃ কোন এক সাধারণত্ববিশেষ-যুক্ত হইলে, অথবা সম্প্রদায় বিশেষই অতি বহায়তন হইলে, তাহাকে ও তাহার অবলম্বিত ধৰ্ম্মকে ‘জাতীয়’ নামে অখ্যাত করা হয় । জাতি বা সম্প্রদায়বিশেষের তদ্রুপ অবলম্বিত ধৰ্ম্মকে জাতীয় বা সাম্প্রদায়িক স্বধৰ্ম্ম বলা যায়। কাথলিক, প্রোটেষ্টাণ্ট, শাক্ত, শৈব, এ সকল সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম ; কিন্তু হিন্দু, খৃষ্টীয়, ইত্যাদি জাতীয় স্বধৰ্ম্ম । কি ব্যক্তিগত ভাবে, কি জাতি ভাবে, মানব যখন স্বধৰ্ম্মামুগত হইয়া চলে, তখনই তাহার জ্ঞান, প্রকৃতি ও নীতি, সমস্ত অনুকূল হওয়াতে, কি