পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Եr গ্রীক ও হিন্দু। নুতন স্বস্ট হইয়া থাকে, তাহারা কখন কৃত এবং কি দোষের জন্য এরূপ বিকৃতিরাশির মধ্যে বিকৃত জন্ম গ্রহণ করিতে বাধ্য হয় ? পুনশ্চ, দুৰ্ব্বল জীবের এরূপ বিকৃতিরাশির মধ্যে স্বষ্ট হওয়া, অথবা বিকৃতির মধ্যে পতিত হইয় তাহদের আত্মরক্ষা করিতে না পারা, এতদুভয়ের মধ্যে কোনটাই বা অধিক অনুযোগযোগ্য বিষয় ? যাহা হউক, এখানে বলিতে হইতেছে যে, খৃষ্টীয়মণ্ডলে এ সকল প্রশ্নের সদুত্তর আজি পৰ্য্যন্ত কোথাও প্রাপ্ত হওয়া যায় নাই । এক্ষণে আমাদের জাতীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্রে কিরূপ উক্ত আছে তাহ দেখা যাউক । ঐ সকল শাস্ত্র, যদিও এক্ষণে বিশেষ কোন ক্ষমতাবান ও বিভবশালী লোকমণ্ডলীর দ্বারা অনুস্থত নহে বটে, কিন্তু যাহাদের দ্বারা অনুস্থত, তাহারা যে জগতের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক ধৰ্ম্মপরায়ণ ও অধিক ধৰ্ম্মভীরু জাতি, তাহাতে আর সন্দেহমাত্র নাই । আমাদের সর্বপ্রধান ধৰ্ম্মশাস্ত্র শ্রীতি অনুসারে, কৰ্ম্মস্থত্র মানবীয় ভাগ্যের পরিচালক ; কিন্তু এ কৰ্ম্মস্থত্রের মূল অনুসন্ধান করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, স্বাধীন ইচ্ছা প্রবল এবং সেই স্বাধীন ইচ্ছা হইতে কৰ্ম্মস্থত্রের উৎপত্তি। অতএব বাইবেল ও শ্রুতি, উভয় শাস্ত্রের মতেই, বলিতে হইবে যে, মানব যথেচ্ছা আয়োজন করিয়া যথেচ্ছ ফললাভ করিতে সমর্থ হয় ; অথবা দৃষ্টাদৃষ্ট ফললাভ কেবল একমাত্র যথেচ্ছা আয়োজন হইতে প্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু এখানে বলা আবশ্বক যে, স্বেচ্ছাবাদ, বাইবেল এবং শ্রীতি, উভয়ে ঘোষিত হইলেও তদুভয়োক্ত মতদ্বয়ের মধ্যে অনেক প্রভেদ আছে। বাইবেলে পুনর্জন্মবাদ নাই, সুতরাং উহার মতে এক জন্মের স্বেচ্ছ বা বাসনাই তাবৎ সুখ দুঃখের কারণ। কিন্তু শ্রুতি পুনর্জন্মবাদ ঘোষণা করিয়া থাকেন, এবং সেই পুনর্জন্মতত্ত্ব মানবীয় তাবৎ মুখ দুঃখাদিরূপ