পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ፃbዖ গ্রীক ও হিন্দু । দেবত্ব কল্পনার আরোপ করিয়া থাকে। উক্ত কল্পনা হইতে, প্রতি পৃথক ক্রিয়াধৰ্ম্মবিশিষ্ট প্রত্যেক শক্তিলীলায়, এক একটি পৃথক দেবতাস্বরূপ নিৰ্ব্বাচিত হয়। সেই সকল দেবতা পুনঃ, মানবীয় বুদ্ধি ও জ্ঞানের নানাবিধ প্রকৃতি ও পরিণতি অনুসারে, নানা মূৰ্ত্তি ও বিভূতিবিশিষ্ট এবং সেই নানা মূৰ্ত্তির মধ্যে আবার কেহ স্ত্রী, কেহ বা পুরুষরূপে নিরূপিত হইয়া থাকে । তদনন্তর মানব, স্বীয় স্বীয় পারিবারিক ও সামাজিক সম্বন্ধ পরম্পরার অনুকরণে, দেবতাগণের মধ্যেও নানা সম্বন্ধ নিৰ্ব্বাচনে ক্ষান্ত হয় না ; এবং উহা হইতেই দেবতাদিগের মধ্যে, কেহ রাজা, কেহ পারিষদ, কেহ চর, কেহ পিতা, কেহ মাতা, কেহ বা ভ্রাতা, ইত্যাদি নানা সম্বন্ধের উদয় হয় । অতএব ধরিতে গেলে, এই দেবতত্ত্ব ফুরিতধৰ্ম্মবীজ মানবীয় মনের অবিকল প্রতিচ্ছায়ামাত্র। দেবতত্ত্বের ইহাই আদি অবস্থা। যত দিন মানব স্বীয় পাশববৃত্তি, অর্থাৎ শরীরপোষণ-বিষয়ক চিন্তা লইয়া নিরন্তর ব্যাকুল থাকে এবং তদতিরিক্ত বিশেষ কোন অবসর পাইয় উঠে না, ততদিন এই আদি অবস্থাকে অতিক্রম করিয়া যাইতে পারে না । মানব যখন পশিববৃত্তির হাত হইতে অবসর পাইয়া, চিন্তাপথে প্রধাবিত হইতে পারে ও জ্ঞানমার্গে বহুদৰ্শিতা লাভ করিতে সমর্থ হয়, তখনই কেবল দেবতত্ত্বের উক্ত আদি অবস্থা অতিক্রম করিয়া যাইবার সম্ভাবনা । আলোচ্য জাতীয় জীবনদ্বয়ে, দেবতত্ত্বের প্রোক্ত আদি অবস্থা গ্রীকদিগের ক্রমোন্নতি হেতু, কালে তাহ যে অনেকটা পরিচ্ছিন্নত প্রাপ্ত হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। পুনশ্চ যদিও পরবর্তী সময়ে গ্রীকের পশিববৃত্তি পরিপূরণ হইতে অনেকটা অবসর লাভ করিয়াছিল বটে, কিন্তু তখনও তাহাঁদের মন অভ্যাসবশে ও দেশকালাদির প্রভাবে ইহলৌকিক বিষয়ে এতই মগ্ন হইয়া থাকিত যে, দ্বিতীয়বিধ দেবতত্ত্বে প্রবেশ করিতে আর