পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* তৃতীয় প্রস্তাৰ । Se> বিশেষের বাহ-প্রচার মাত্র ; এবং আমরা ও আমাদের রূপাভাসও সে মহাকল্পনামূৰ্ত্তি যে মহাচিত্তের আত্ম-পদার্থ, সেই মহাচিত্তপ্রাণ মহাপুরুষের প্রয়োজনসংসারে, হয় ত তথাবিধ পরিণাম প্রাপ্তিতে. স্বাক্ট ও স্বাক্টস্থ তাবৎকে অগ্রসর করাইয়া থাকে। আমি বলিয়াছি, মনুষ্য মহাশক্তিরাশিমধ্যে স্ফটিকত্ব প্রাপ্ত শক্তিখণ্ড মাত্র । শক্তিরাশির সমস্ত গুণাগুণই উহাতে অরস্থিতি করিতেছে। এ নিমিত্ত আমরা, প্রত্যক্ষ হউক অপ্রত্যক্ষ হউক, নিজসাধ্যের অতীতে হউক বা সাধ্যায়ত্তে হউক, ক্ষুদ্র বা বৃহৎ সমস্ত ব্যাপারেই, মহাকারণ-শরীরময়ী সেই শক্তিরাজ্যেরই যথাসম্ভব অভিনয় করিয়া থাকি ; এবং এই নিমিত্তই, আমাদিগের যাবতীয় সাত্ত্বিক কাৰ্য্য প্রকারাস্তরে প্রকৃতির অনুকরণ ও প্রকৃত্তির প্রয়োজন-পূরকতা ব্যতীত আর কিছুই দাড়ায় না । সুতরাং, ইহা বলিলে নিতান্ত অসঙ্গত হইবে না যে, স্থষ্টি ও স্থষ্টিস্থগণের মধ্যে, একে অপরের বা পরস্পর পরস্পরের তত্ত্ব-নিরূপক হইয়া থাকে । বাঞ্ছারাম, ভয় নাই, প্রকৃতির অনুকরণ করা বলায় তোমার বীরত্ব লোপ করিতেছি না ; তুমি এখনও প্রকৃতির অনুকরণ বা তাহার শিক্ষার অতীতে কাৰ্য্যকরণে সমর্থ। বস্তুমাত্রে কারণশরীরের যে অবশুম্ভাবিতা এবং তত্ত্বৎপাদক কৰ্ত্তার যে অপরিহার্য্য অস্তিত্ব, যাহা প্রকৃতি ও তোমার নিজকৃত কাৰ্য্যসমূহ নিরস্তর ঘোষণা করিতেছে, তুমি যখন তাহা প্রকৃতির পরিচালক পুরুষের পক্ষে অস্বীকার করিয়া থাক, তখনই তোমার নূতন স্বষ্টির সঞ্চার—শয়তানিবীরত্বের উৎপত্তি হয় । সে যাহা হউক, উপরি-উক্ত উক্তি সকলে যথেষ্টই আভাসিত হইয়াছে যে, বাড়ীটি ভাঙ্গিলে ও লোপ হইলেও, তাহার কল্পনামূৰ্ত্তি বা কারণ-শরীর যাহা তাহার লোপ হয় না। অনন্ত মানবীয় মনীষাশ্রোতে বা জগৎ-প্রবাহে তাহা সম্মিলিত হইয়া প্রচ্ছন্ন