পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব। 本 তত্ত্ববিদ্যা । ১ । তত্ত্ববিদ্যার স্বরূপ। এ জগতে যদি অসতের অধিকার না থাকিত, তাহা হইলে কি ধৰ্ম্মবিদ্যা কি তত্ত্ববিদ্যা, কি ধৰ্ম্মীচরণ কি তত্ত্বানুশীলন, এ সকলের কিছুরই প্রয়োজন হইত না ; অথবা অসৎ অভাবে এই স্থষ্টিরই সঞ্চার এবং সম্ভাবনা থাকিত কি না সন্দেহ । যাহা সৎস্বরূপ ও সত্য, তাহা নিত্য, অব্যয়, অপরিবর্তনীয় এবং সনাতন পদার্থ, কিন্তু স্বষ্টি সেরূপ নহে। দেখা যায় যে, স্বষ্টি মূল হইতে সৰ্ব্বদা পরিবর্তনীয়, সৰ্ব্বদ উৎপত্তি, বৃদ্ধি ও ক্ষয়ের অধীন ; অথবা হিন্দুর তত্ত্বকথায় উহা সত্ত্ব, রজঃ তুম এই ত্রিগুণময়ী এবং ত্রিগুণম্বিকারূপে প্রসিদ্ধা। স্বটিকেও সুতরাং স্বভাবতঃ অসৎ-মূল বলিয়া প্রতীত হয়। একমাত্র হিন্দুশাস্ত্র, এই অসং-মূল বৈকারিক স্বষ্টি স্বীকার করিয়া থাকে। অন্যান্ত জাতীয় শাস্ত্র, যদিও ধৰ্ম্ম ও তত্ত্বোদয় সম্বন্ধে অসত্তের আদিকারণত অস্বীকার করে না বটে, কিন্তু স্বষ্টি সম্বন্ধে বলিয়া থাকে যে, মূলে উহা অসৎ হইতে উদিত নহে, তবে উদয়ের পরক্ষণে বটে অসংপ্রভাবে বিকৃতি প্রাপ্ত হইয়াছে। যাহা হউক, সে বিচারে এখন প্রবিষ্ট হইবার প্রয়োজন নাই। এখানে এই পৰ্য্যন্ত বলিলেই যথেষ্ট যে, ধৰ্ম্মবিদ্যা এবং তত্ত্ববিদ্যা সম্বন্ধে, অসং-অধিকার যে আদি ও নিমিত্ত কারণ, ইহা সৰ্ব্ববাদি সম্মত। সেই অসৎকে পুনঃ নিরসন ও নিরাকরণ করিবার