পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼVz গ্রীক ও হিন্দু। হইতে পারিয়া, কি পরিমাণে সফলতা লাভ করিয়াছে। কাৰ্য্যকৰ্ত্তার আদিষ্ট কাৰ্য্য সামান্ত হইলেও, কাৰ্য্যকারক যদি তাহ সুশৃঙ্খলে ও সাত্ত্বিকভাবে সমাধা করিতে পারিয়া থাকে, তাহা হইলে সে কাৰ্য্যকারককে অবশ্যই ধন্য বলিতে হইবে । কিন্তু যথায় ন্যস্ত কার্যের ভারে অফলত ঘটে, তথায় উচ্চ হইলেও, কাৰ্য্যকারক অধমের মধ্যে পরিগণিত হয় । ইহার পর কোন জাতি সাংসারিক গণনায় ছোট কোন জাতি বড়, ইহার কি আর স্বতন্ত্র আলোচনার প্রয়োজন হইয়া থাকে ? ন্যস্ত কৰ্ম্মের সফলতাতে শ্রেষ্ঠত এবং তদন্ততরে অপকৃষ্টতা । যাহা হউক, তথাপি বাঞ্ছারাম বলিতেছে যে “লৌকিক ভাবেও একটা ছোট বড়র আলোচনা আছে।” তুমি হয় ত তেমন স্থলে বলিবে যে, সেরূপ আলোচনায় যে মীমাংসা, তাহ কেবল পাগলের পক্ষে তুষ্টিকর হইয়া থাকে । কিন্তু আমি তদুত্তরে বলিব যে, “মানুষের মধ্যে পাগলই বা কোনটা নহে ! মনুষ্য শরীরী হওয়ায়, কিয়দংশে সকলকেই পাগল বলিতে হইবে ; অতএব সেই পাগলামির তৃপ্তি করিয়া, তৃপ্ত্যন্তে গাম্ভীৰ্য্য ও গুরুকৰ্ম্মানুসরণ তাহার মনে উদয় করাইবার নিমিত্ত, ওরূপ মীমাংসারও অবশ্যক হইয়া থাকে।” কাজেই এখন গরিব গ্রন্থকারকে, বাঞ্ছারামবাবুর কথার চাকুনি কাটিবার নিমিত্ত, কিছু না কিছু বলিতে হইতেছে এবং তজ্জন্য এখন কেবল এইমাত্র বলিতে পারি যে, জাতীয় যে ছোট বড় ভাব, তাহী ন্যস্ত কার্য্যের লঘুত্ব ও গুরুত্ব লইয়া—যেমন একজন মনস্তত্ত্ববিৎ ও একজন শিল্পকার ; সমাজের পক্ষে এ উভয় যদিও সমান প্রয়োজনীয় বটে, কিন্তু তথাপি কাৰ্য্যের গুরুত্ব হেতু মনস্তত্ত্ববিদের আসন প্রথম, দ্বিতীয় আসন শিল্পকারের— জাতীয় ছোটত্ব বড়ত্ব বিভাগও তদ্রুপ । অতঃপর অমাদিগের প্রস্তাবিত জাতিদ্বয়ের মধ্যে কে ছোট কে বড়