পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

史@● ँौक ७ श्लूि । এক্ষণে জগংকর্তা পরমেশ্বর জ্ঞান কিরূপে উপলব্ধি হইতে পারে, তৎসম্বন্ধে প্লেটে বলিতেছেন —যে কোন পদার্থ জন্মবিশিষ্ট, তাহা অবশ্য কোন কারণ হইতে উৎপন্ন হইয়া থাকে ; যেহেতু কারণ ব্যতীত তদ্ধপ উৎপত্তি অসিদ্ধ। কারণ ব্যতীত কার্য্যের উৎপত্তি অসিদ্ধ, ইহা প্লেটো বহুদৰ্শন হইতে স্বতঃসিদ্ধ স্বরূপ ধরিয়া লইয়াছেন । পুনশ্চ, ইহাও সিদ্ধ যে যাহা কিছু ইন্দ্রিয়গ্রাহ, তাহাট জন্মবিশিষ্ট । এই বিশ্ব ইন্দ্রিয়ের বিষয়ীভূত, সুতরাং ইহাও জন্মবিশিষ্ট ; এজন্য ইহাও স্থির হইতেছে যে, এই জাত-মূৰ্ত্তি ও কার্য্যস্বরূপ বিশ্বের কারণস্বরূপ একজন স্বষ্টিকর্তা অবশ্য আছেন। তাহার পর ঈশ্বরের স্বরূপতা সম্বন্ধে বলিতেছেন ;–এই বিশ্বের যিনি পিতা এবং স্বষ্টিকৰ্ত্তা, তিনি এবং তঁহার কার্য্যকলাপ কিরূপ, তাহার আবিষ্করণ নিঃসন্দেহে অতি কঠিন। যদি বা আবিষ্কার করিতে পারা যায়, তথাপি এত গৃঢ় যে সাধারণ মানবীয় বুদ্ধির নিকটে তাহা স্বপ্রকাশিত হিনীর দ্বিবিধ প্রলয়, নিত্য ওঁ নৈমত্তিক । প্লেটোর প্রলয় এবং হিন্দুর নিত্য প্রলয়, এ উভয়ে সমজাতীয় ; উহাতে স্বষ্টির একেবারে ধ্বংস হয় না, কেবল পুরাতনের উপর নুতনত্ব সম্পাদন হয় মাত্র। হিন্দুর নৈমত্তিক প্রলয়ে সমস্তই ধ্বংস হইয়। গেলে, নারায়ণ একার্ণবশায়ী হইয়া থাকেন এবং তদমস্তর মায়াবীজ পরিপুষ্ট হইলে, পুনর্বার স্বষ্টিয় সঞ্চার হয়। থিওসফিষ্টদিগের সৃষ্টিতত্ত্ব যতদুর দেখিয়াছি, তাহাতে স্পষ্টই বোধ হয়, যেন তাহা প্লেটের এই স্থান হইতে অনুকরণ করিয়া লওয়া । থিওসফিষ্ট্ররাও, প্লেটোর বর্ণনামত, আটলাণ্টক মহাসাগরস্থ আটলাণ্টিস নামক দ্বীপাকার মহাদেশের বিগত অস্তিত্বে বিশ্বাস করিয়া থাকে । প্লেটো বলেন, এই মহাদ্বীপ ভৌতিক বিপ্লব বিশেষের তাড়নায় এখন সমুদ্রতলগত হইয়া গিয়াছে । এই মহাদ্বীপও, তাহার কথামত, অতি সভ্যতা ভব্যতা, ও সমৃদ্ধিপূর্ণ মহাদেশ ছিল । এই মহাদেশের প্রাচীন রাজশাসন ও সভ্যতাদির বিষয়, রূপকচ্ছলে বা সত্য আভাসে ৰাহাই হউক, বহু পরিমাণে প্লেটোর ক্রিটীয়াস নামক প্রবন্ধে বর্ণিত হইয়াছে।