পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব। રહ છે. করা একেবারে অসাধ্য। (৯) অতএব কাৰ্য্যদৃষ্টে কারণের উপলব্ধিস্বরূপ ঈশ্বর-বিষয়ক যে জ্ঞান জন্মে, তাহাই সাধারণতঃ অবলম্বনীয়। পুনশ্চ, এই কাৰ্য্যকারণ বোধগম্য বুদ্ধিযোগে ইহাও উপলব্ধি হইতেছে যে, যখন এই বিশ্ব সমস্ত স্থষ্ট পদার্থের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ সৌন্দৰ্য্যশালী ও পূর্ণত্বপ্রাণ, তখন ইহার স্বষ্টিকৰ্ত্তাও অবশু দ্বেষরহিত ও সতের আধার, তাহাতে সংশয় নাই। এখানেও দৃষ্ট হইবে যে, প্লেটাে কাৰ্য্যদৃষ্টে কারণের স্বভাবজ্ঞান উপলব্ধি করিতেছেন। তাহার পর আত্মা সম্বন্ধে প্লেটাের মতামত কি, তাহা বলিতে যাওয়া একট গোলযোগের কথা । প্লেটোর ফিড়োস (১০) নামক গ্রন্থ দৃষ্টে দেখা যায় যে, প্লেটাে আত্মাকে কেবল অবিনাশী বলেন (৯) জিনোর সাম্প্রদায়িকেরা কল্পনা করিয়া থাকেন যে, ঈশ্বর একটি অবিনাশী জীব স্বরূপ, কিন্তু মনুষ্যের ন্যায় আকারবিশিষ্ট নহেন । তিনি জ্ঞান ও আনন্দময় এবং অসতের অতীত ; এই পৃথিবীতে যাহা অাছে ও যাহা হইতেছে ও হইবে, তিনি তাহার তত্ত্বজ্ঞ। তিনি এই পৃথিবীব স্বষ্টিকৰ্ত্তা এবং সর্ববস্তুতে তাহার সত্তা পরিব্যাপ্ত রহিয়াছে ; এবং ঐ সত্তাই স্থানবিশেষে পৃথক পৃথক দেব দেবীরূপে কল্পিত ও পূজিত হইয়া থাকে, যথা দেমিতুর ক্ষিতি রূপে, পোসিদোন রসরূপে, অথিন সুক্ষ্ম বায়ু বা ইথার রূপে, হেপিস্তুস অগ্নিরূপে ইত্যাদি। ইহা বহুরূপ কল্পনা মাত্র, নতুবা দেবতা যিনি, তিনি এক । ইহার সহিত আমাদিগের বৈদিক গাথা একবার মিলাইয়া দেখ—“স্বপর্ণম্ বিপ্রাঃ কবয়ে বচোভিঃ একম্ সস্তম্ বহুধা কল্পয়ন্তি । ঋঃ বে ১০।১৭ ৪ অথবা— “ইন্দ্রং মিত্রং বরুণমগ্নিমাহুরথো দিব্য: স স্বপর্ণে গরুত্মান । একং সদ্বিপ্রা বহুধা বদস্তি অগ্নিং যমং মাতরিশ্বানমাহু: ॥" ৰ: বে: ১৷১৬৪৪৬ ৷ স্থানান্তরে জিনো কহিয়াছেন যে, এই বিশ্বই ঐশ্বরিক মহাসত্তা, উহাই ঈশ্বর। আরিষ্টটলও, অশরীরী একেশ্বরবাদী। তিনি বলেন, ঈশ্বর স্বয়ং নিশ্চল ; কিন্তু তাহার নিয়মচক্র সর্বত্র পরিব্যপ্ত, এবং তাহাই যাবতীয় বিযয়কে পরিচালিত করিয়া ফিরিতেছে । জিনো এবং আরিষ্টটল, উভয়ই প্লেটোর পরবর্তী লোক । আরিষ্টটল নিজে প্লেটোর শিষ্য ছিলেন । (»•) PhcEdrus, 51.