পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇఅ8 গ্রীক ও হিন্দু। কিছুই নহে, সমষ্টি ও ব্যষ্টিতত্ত্ব মাত্র ; অর্থাৎ একেতে বহু ও বহুতে এক। জিজ্ঞাসা করি, এ সংসারে এমন কোন পদার্থ কোথাও দেখাইতে পার কি, যাহাতে যুগপৎ একত্ব ও রহুত্বের সমাবেশ নাই ? এই যে কলম, যাহাতে লেখা যাইতেছে, তাহ যেমন একটি পদার্থ স্বরূপ বটে, তেমনি আবার ঠিক একটিও নহে ; উহা উপকরণআখ্যাধারী একত্র সমাবিষ্ট বহু পদার্থের যে একতর সমষ্টিরূপ, তাহাতে সন্দেহমাত্র নাই। বাগান বলিলে একটি পদার্থ বুঝায়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহা বহুবৃক্ষের একত্র সমাবেশমাত্র । পুষ্করিণীস্থ জল বলিলে একটি পদার্থ বুঝায়, কিন্তু বস্তুতঃ পক্ষে উহা অসংখ্য জলীয় কণা বা বাম্পের একটি সমাবিষ্ট-মূৰ্ত্তিবিশেষ। একটি বালুকাকণার প্রতি দৃষ্টি করিলে, তাহাতেও ঐ কথা। এক্ষণে ক্ষুদ্র পদার্থ পরিত্যাগ করিয়া, পর পর ক্রমোৰ্দ্ধে, এমন কি সমগ্র স্বষ্টি-পদার্থের প্রতি একবার তোমার দৃষ্টি চালনা করিয়া দেখ, দেখিতে পাইবে, সেখানেও সেই সমষ্টি ও ব্যষ্টিতত্ত্বের বিদ্যমানতা । ফলতঃ এ সংসারে ক্ষুদ্রবৃহৎ এমন কোন পদার্থ নাই যাহাঁতে একত্ব ও বহুত্ব একধ সন্নিবিষ্ট নহে। আরও দেখ, এই যে একত্ব ও বহুত্ব বা সমষ্টি ও বাষ্টি বোধ এবং তত্ত্বভয় শ্রেণীভেদে যে বহুতর পদার্থ জ্ঞান হয়, তাহ সমস্তই আমাদের ইন্দ্রিয়-বিষয়-বোধের আকার ও প্রকারভেদ জন্য তদ্রুপ তদ্রুপ হইয়া থাকে এবং আমাদেরই প্রদত্ত সংজ্ঞা হেতু পুনঃ, ব্যষ্টি ও সমষ্টি সকল কেহ বাষ্প, কেহ জল, বা স্বল্প হইতে সূক্ষ্মতর ও স্থল হইতে স্থলতর, নানাবিধ নামের দ্বারা নামিত হয়। ভাল, এখন যদি একবার বিষয়বোধক আমাদের ইক্রিয়গণকে প্রত্যাহরণ ও নামদায়ক সংজ্ঞ সকলকে সংহরণ করিয়া লই, তাহা হইলে বলিতে পার, বস্তুতঃ এ সংসারে থাকে কি ? তাহার পর এটাও লক্ষ্য করিবার বিষয় যে, কি সমষ্টি কি ব্যষ্টি, এ উভয়বিধ ভাবোদয়ের