পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኟግ8 গ্রীক ও হিন্দু। মধ্যে বসিয়া, পায়ের উপর পা দিয়া, আরামের উপর সুনীতিসম্পন্ন ভালে সামাজিক হইতে পারিলেই, প্লেটোর বর্ণিত মোক্ষকে পর্য্যন্ত প্রাপ্ত হইতে পারা যায়। এই অনুষ্ঠান-পর্বে যে বিষয়গত পার্থক্য, তাহা উভয়ত জাতীয় প্রকৃতির পৃথকত্ব বিষয়ে অনেকটা পরিচয় প্রদান করিয়া থাকে । প্লেটো কহেন, ইচ্ছা করিয়া কেহ অসৎ হয় না । (২৭) শরীর, উহরি গঠন-উপকরণের স্বভাব হইতে রোগের আধার হইয়াছে ; এবং শারীরিক রোগহেতু আত্মাও রোগের বশীভূত হইয়া থাকে। শারীরিক রোগ নানাবিধ, কিন্তু আত্মিক রোগ প্রধানতঃ বুদ্ধিবিকার । শরীরকে স্বচ্ছন্দরূপে চালাইতে না পরিলে, সেই স্থত্রে আত্মিক রোগও উপস্থিত হইয়া থাকে। কুশিক্ষা, কুমতি, মাদকতা, ইত্যাদি ইত্যাদি আত্মিক রোগ হইতে অসৎ চেষ্টা ও অসৎ কাৰ্য্যের উৎপত্তি হয়। শারীরিক রোগের ন্যায়, আত্মিক রোগেরও চিকিৎসা আছে ; তত্ত্বানুশীলন, ধৰ্ম্ম ও নীতির অনুসরণ, ইত্যাদি আত্মিক রোগের চিকিৎসা ও ঔষধ উভয়ই । উপরে বরাবর দেথান হইয়াছে যে, আত্মার ভাব দ্বিবিধ, এক নিত্য ও অপর জননভাব ; অথবা এক জ্ঞানাত্মা ও অপর বিজ্ঞানাত্মা। জ্ঞানাত্মার অবস্থান মস্তকে, ইহার দ্বারা মানুষ জ্ঞানের অধিকারী হয়। বিজ্ঞানাত্মা দুইভাগে বিভক্ত ; যে ভাগ ক্ষুধা তৃষ্ণাদির অধীন, তাহ হৃদয়ে এবং অপরভাগ, যাহা বাগ দ্বেষাদির অধীন, তাহ মস্তকের নিম্ন ভাগে অবস্থান করে । বিজ্ঞানাত্মার দোষেই মানুষ অসৎ কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত ও তাহার ফলভাগী হইয়া থাকে। হিন্দুতত্ত্ববিৎ আত্মার যে চতুৰ্ব্বিধ অবস্থা নিরূপণ করেন, অর্থাৎ বৈশ্বানর, তৈজস, প্রাজ্ঞ ও ব্রহ্মা, এখানে তাহার সহিত কোন সাদৃশুই লক্ষিত হইতেছে না। প্লেটাের জানাস্থা ുജ്ജമ്മഞ്ഞ (A*) Tim. LXVIII,