পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । "వారి ধারণাশক্তির অপেক্ষা অল্পই রাখা হইল। লোকে অবাক হইল এবং নুতন মতাদি বুঝিতে ও তাহা আয়ত্ত করিতে পারিল না ; সুতরাং সেই সকল যথাকথিতভাবে কখনই সাধারণ লোকবর্গের মধ্যে গৃহীত ও অমুস্থত হইল না। অথচ লোকে, সেই সকল দৃষ্টে ও তাঁহাদের তত্ত্বাবৰ্ত্তে বিঘূর্ণিত হইয়া, মোটের উপর এইটুকু মাত্র অনুভব করিল যে, তাহীদের নিজ অনুস্থত অর্থকামাদি অকিঞ্চিৎকর । পুনঃ তাঁহাদের বিস্ময়-আপ্নত বিশ্বাসে এই তত্ত্ববিদেরা মহাজন, তাহার পর “মহাজনো যেন গত: স পন্থা,” এ কথার উৎপত্তি ও বিস্তৃতি উভয়ই অতি সহজ । সুতরাং ইহারাও, দেখাদেখি, লৌকিক বিদ্যা ও অর্থাদিতে আস্থাশূন্ত হইয়া, তত্ত্ববিদদিগের প্রদর্শিত উচ্চপথ বাহনের চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইল ; এ দিকে কিন্তু সে পথ ধারণার অতীত বলিয়া দুর্গম্য, কাজেই তাহার বিকৃতিসাধনপূর্বক তাহাকে আত্মসমতায় আনিয়া, অভীপিত লাভ হইল বলিয়া বিবেচনা করিতে লাগিল। ইহাতে ফল এই দাড়াইল যে, এক দিকে নিশ্চিত বিষয় যাহা, তাহ হস্তচু্যত হইতে লাগিল ; অন্যদিকে অনিশ্চিত বিষয়ত্ত লাভ হইল না, অধিকন্তু অনিশ্চিতের অনিশ্চিত—তাহার বিকার মাত্র হাতে আসিয়া সম্বল হইয়া দাড়াইল । কোন বিষয় একেবারে না পাওয়া যায় সে ভাল, কিন্তু তাহার বিকার ভাব পাওয়া কখনই ভাল নহে। না থাকাতে তত দোষ নাই, যত বিকৃত ও কদৰ্য্যভাবে থাকায় দোষ আছে। অতএব জন কয়েক প্রকৃত তত্ত্বশীলকে বাদ দিলে, সাধারণ লোকের পক্ষে তাহাদের আধ্যাত্মিক পথে একরূপ দুকুল দুষ্ট হইল বলিতে হইবে। এই দুষ্টত জন্য হিন্দুচরিত্র কার্য্যতঃ অনিশ্চয়, অস্থিরপদ ; যে কোন বিষয়ে আসক্তি ও দার্টত-শূন্ত । হিন্দুসস্তান যদি বা কখনও ৰহু আড়ম্বরে ও বহু