পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ל8סי রূপে তাহ স্মরণ রাথিয়া, পরে অনাবশ্বক বোধে তাঁহাতে জলাঞ্জলি দেয়। অবশুই, অনন্বিতভাবে, কেবল রৈখিক মীমাংসায় কিছুই প্রয়োজন বা ফল নাই ; কিন্তু যদি তাহারা আরম্ভের সেই নিরাশকররূপে-প্রতীয়মান অংশ অতিক্রম করিয়া সফলতা যথায়—সেই সীমা পৰ্য্যন্ত—একবার যাইতে পারিত, তাহা হইলে অবশ্যই তাহারা সকল দিকে সার্থকতা দেখিয়া চরিতার্থ ও আনন্দবান হইতে পারিত। অতএব অনেক চেষ্টাশীলেরও অধ্যবসায় অভাবে চেষ্টায় নানা দুর্দশ ঘটয়া থাকে। আবার দেখ, অন্বেষণকারীর অন্বেষণ গভীর হইলেও, সে ব্যক্তি গভীরতার যতদুর সীমায় যাইতে সমর্থ বা যাওয়া উচিত, ততদুর যদি না যায়, তবে একটু মাত্র ক্রটিতে হয়ত সমস্তই বৃথা হইয়া যাইবার কথা । মনে কর, ৭০ ফুট বালি কাটিয়া মাটিপ্রাপ্তে নদীগর্ভে পুলের ভিত্তি আরম্ভ হইয়াছে। সন্দেহবাদীদিগের কথা শুনিতে হইলে, হয়ত ১০ ফুট কাটিয়াই মাটি পাইলাম না ও পাওয়া যাইবে না বলিয়া, বালির উপরে ভিত্তি আরম্ভ করিতে হয় ; এবং পুলও দৃষ্ঠতঃ সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর ভাবে সে ভিত্তির উপরে নিৰ্ম্মাণ না করা যায় এমন নহে, কিন্তু বালির উপর সে কাণ্ড কয় দিন থাকে ? তোমার কোম্তে আদি দার্শনিকনীতি অবলম্বন করিয়া কৰ্ম্মক্ষেত্রে অবতরণ করিতে হইলে, এই বালির উপর পুলের পত্তন হইয় থাকে। যে পাকা ভিত্তি খুজিতে চায়, তাহার পক্ষে ৬৯ ফুট খুঁড়িয়া ক্ষান্ত হইলেও নিস্তার নাই ; কারণ তোমার ৬৯ ফুটেও যে দোষ, ১০ ফুটেও ত তাঁহাই ! বাঞ্ছারাম, নিশ্চয় জানিবে, যেখানে আমার অনুসন্ধিৎস। শক্তির সীমা ; ঠিক সেই খানেতেই, আমার ধারণার উপযোগী অবলম্বন পদার্থরূপী ঐশ্বরিক সত্তারও পূর্ণাবয়বে বিদ্যমানতা। উহ ঈশ্বর কর্তৃকই তদ্রুপ নিয়োজিত।