পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“Ә9& औरू ७ श्लूि । এই নাস্তিকতাবুদ্ধি, জ্ঞানপৰ্য্যায়বিশেষের বিপ্লবদশাতে উপস্থিত হইয়া থাকে। উপার্জনের কাল, বৃথা জল্পনে ব্যয় করিবার সময় নহে ; তাহা পূর্ণ সাত্ত্বিক কাল ; মানুষের তখন বাক্যাড়ম্বর থাকে না, মানুষ তখন ধীরে নিস্তব্ধে অথচ অধ্যবসায়পূর্ণ নিশ্চয়ভাবে উপার্জনরত হইয়া থাকে। সৰ্ব্বকালেই নিৰ্ব্বকভােব কাৰ্য্যক্ষমতার এবং বচনবাগীশী অকৰ্ম্ম ভাবের লক্ষণ। এ সাত্ত্বিক সময়ে চাতুরী, কাপট্য, অসত্য বা অপরিণামদর্শী প্ৰগলভ ভাব, বড় একটা স্থান পায় না ; সুতরাং মানবও তখন প্রকৃত বলে বলী । সারল্য বলের চিহ্ন, কৌশল তাহার বিপৰ্য্যয়। উপার্জনের পর ভোগের আরম্ভ, ভোগ হইতে স্বাভাবিক শক্তি ও ভাবাদির বিকার উপস্থিত এবং:কৃত্রিম কৌশল বা অলঙ্কারের প্রতি রুচি বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে ; তখন আত্মিক স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধীন চিন্তা ক্ষয় পায়, সকল কনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ হইয়া উঠে এবং মহত্ত্ব ও গুণের প্রতি ভক্তি লোপ হইয়া যায় ; তর্ক ও অলঙ্কারের ছড়াছড়ি এবং কৌশলসম্পন্ন বিষয় ও জটিলতাই প্রশংসাস্থলীয় হইয়া থাকে ; অনুকরণপ্রিয়তা উপস্থিত হয়, অথচ দিগ্বিদিক্কম্পিতকারী বাক্যাড়ম্বরের সীমা পরিসীমা থাকে না। আসল বিষয়ে একেবারে দৃষ্টিরোধ হইয়া যায়। নতুবা এই এক ‘একতা’, ইহার অর্থ বুঝিবার বা বুঝাইবার অভাবে সমগ্র ভারত ধ্বংস কি হয় ? সত্যাবলম্বন ও স্বাভাবিক সরল বিষয় যাহা, তাহ প্রায়ই নগণ্যের মধ্যে পড়িয়া যায় এবং তাঁহ৷ বুঝাইতে কেহ আtয়াস লয় না এবং বুঝিতেও কেহ মন দেয় না । সরল বলিয়াই সামান্ত জ্ঞান ; সুতরাং প্রকৃত বলের চিহ্ন যাহা, ঠিক তাহাই দুৰ্ব্বলের চিহ্ন বলিয়া উপেক্ষিত হয়। ভৌতিক সত্ত্ব ক্রমে ইন্ধন পাইয়া পরিপুষ্ট হইতে থাকে, কিন্তু আত্মিক সত্ব শীর্ণ হইয়া যায়। মানব সৰ্ব্বদা স্বাধীনচেতা হুইবে বটে, কিন্তু লাগমসংযুক্ত ; কিন্তু এ