পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । \6ס:v9 দাড়ায়—যথায় অপরে জীবন্ত বৃক্ষের পুষ্পষণে আমোদিত, ফলের রসাস্বাদনে তৃপ্ত, নব গত্রপুঞ্জের শৈত্যে শান্ত এবং বৃক্ষস্থ বিহঙ্গমকুলকলে মোহিত হইয়া থাকে, তথায় নাস্তিকেরও সেইই বৃক্ষ আশ্রয় বটে, কিন্তু বৃক্ষ এখানে ছিন্নমুলহেতু ফুল শুষ্ক নিৰ্গন্ধ, ফল রসপূন্ত বীতস্বাদ, পত্র শুষ্ক তাপোত্তেজক এবং কোন বিহঙ্গম আসিয়া সে বৃক্ষে আশ্রয় লয় না ; যদি আসে ত সে দাড়কাক ! কি সুখ । কি তৃপ্তি ! ইহাদের নিকট বিশ্বস্থ তাবৎ বিষয় বন্ধনশূন্ত এবং বিকৃত : তত্ত্বস্থলে তাবৎ বিষয়েরই মূল অনিরূপিত, অনির্দিষ্ট বা কল্পনায় নিহিত সকলেই পৃথক পৃথক ও সামঞ্জস্যপূন্ত ; বহুত্বই সৰ্ব্বত্র, একত্ব কোথাও নাই। কিন্তু যথায় তদ্রুপ দুষ্ট বুদ্ধির অভাব, তথায় ?—সৰ্ব্বত্রই বহুত্বের মধ্যে একত্ব বিরাজিত, সৰ্ব্বত্রই সকল বিষয় দ্বন্দ্ব-নিরাকৃত হওয়াতে মধ্যবিন্দুতে আসিয়া সমাহিত হইয়াছে। মধ্যবিন্দু হইতে বিচ্ছুরিত হইয়া তাবৎ বিষয় দিগন্ত-প্রসারিত হইতেছে, আবার সে সকলই পুনঃ পর্বে পর্কে গুটিত হইয়া মধ্যবিন্দুতে আসিয়া সম্মিলিত হইয়া যাইতেছে। সুতরাং সৰ্ব্বত্রই সামঞ্জস্ত ও স্ব-তানলয়ের তরঙ্গ খেলিয়া যাইতেছে। কি অচিন্তনীয় ! কি অনন্তবিকাশী লীলা-প্রকট । যখন মানবীয় সকল প্রকার চিত্তবৃত্তি ও বৃত্তিজাত বিষয়, যখ। বুদ্ধি, বিদ্যা, তত্ত্বজ্ঞান প্রভূতি, পর পর পর্য্যায়ক্রমে উন্নতি প্রাপ্ত হয় ; তখন বলা বাহুল্য যে, আস্তিকতা ও তাহার বৈপরীত্যসাধক নাস্তিকতা সম্বন্ধেও ঠিক সেইরূপ ঘটনা হইয়া থাকে। যে কোন বস্তুর স্বাভাবিক। অবস্থা এবং বিকারে, বস্তু ফলতঃ উভয়েতে এক ; প্রভেদ কেবল অবস্থাদ্ধয়ের ভাব-ভেদমাত্র। অতএব যখন যে প্রকৃতির অস্তিকতা, তথন নাস্তিকতাও সেইরূপ প্রকৃতির হয়। আস্তিকতা যখন উন্নত ২৩