পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vరిచి গ্রীক ও হিন্দু। বটে, কিন্তু সমজাতীয় ক্রিয়ার উৎপাদন করিয়া থাকে। ইহার মধ্যে স্থল এবং নিকট ক্রিয়া যাহা, তাহাই আমরা অনুভব করিতে পারি ; দূর এবং স্বক্ষ যাহা, তাহা অনুভব করিতে পারি না ; এবং যদিই ব: কোন প্রকারে কখনও তাহ অনুভূতিতে আইসে, তখন হয়ত তাহা বুঝিতে না পারিয়া, চপলতা সহকারে তাহার কারণনির্দেশ লইয় বাক্বিতও করিয়া থাকি। দেখ, পুত্রের বিয়োগ হইল ; কিন্তু অতিদুরস্থিত পিতা মাতা সেই মুহূর্বেই বিষম চঞ্চলত প্রাপ্ত হইল ; সংবাদ নাই, পূৰ্ব্বাভাস নাই, অথচ চঞ্চলত প্রাপ্ত হইল ; কতজনে হয়ত এ ঘটনাকে আদৌ বিশ্বাসই করিতে চাহে না, কতজনে বা তাহার নানারূপ কারণ নির্দেশ করিতে যায়। হিন্দু মতে উক্ত স্থঙ্ক অাকর্ষণ ও যৌগিকতা, আকাশধৰ্ম্মে পরিচালিত হইয়া থাকে। সে যাহা হউক, এক্ষণে ব্যক্তব্য এই যে, প্রতি বস্তুখণ্ড পূর্ণ বিশ্ব প্রতিরূপ হইলেও, কথিত গুণ ও পদার্থতত্ত্বে পরিমাণের প্রভেদ হেতু বস্তু সকলে, তাহাদের পরস্পর সম্বন্ধে, বিজাতীয় ও সমজাতীয়, সমধৰ্ম্মী ও অসমধৰ্ম্মী, ইত্যাদি বিভাগের উদয় হইয়া থাকে। এক্ষণে সেই জাতি ও ধৰ্ম্মাদির ভেদভাবহেতুই, বস্তু সকলের পরস্পর অন্বয়ে, গুণ ও পদার্থক্ষেভজাত ক্রিয়ায়, কোথাও অনুকুলত কোথাও বা প্রতিকুলতা দৃষ্ট হয় । সমধৰ্ম্মী ও অসমধৰ্ম্মী পদার্থদ্বয়ের এক অপরের সম্বন্ধে আতিশয্য প্রাপ্ত হইলে, তাহাকে বিষ শব্দে অভিহিত করা গিয়া থাকে। সাপের বিষ মানুষের শরীরেও আছে, কিন্তু সাপে নিহিত বিষ পদার্থের আতিশয্য হেতুই, মানুষের পক্ষে তাহ বিষজন্ত ক্রিয়া উৎপাদন করিয়া থাকে। আত্মিক ও ভৌতিক, উভয় বিষয়েই, প্রকৃত চিকিৎসাবিদ্যা যাহা, তাহ বিষেরই হরণ পূরণ সাধন মাত্র ।