পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু । 9אףס\ পুরোভাগে অক্ষুন্ন রহিয়াছে। ঈশ্বর কি উপায়ে, কাহার দ্বারা কোথায় দিয়া যে কিরূপ কাৰ্য্য সম্পন্ন করাইয়া থাকেন, তাহ এককাত্ৰ তিনিই জানেন ; মহুষ্যবুদ্ধির নিকট তাহ অপরিজ্ঞেয় ; আমরা কেবল তাহার ছায়াকণা মাত্র অনুভব করিতে পাইয়া, অনাহুত বাগবিতণ্ডায় কালক্ষেপ করিয়া থাকি । “সহি ভূতানাং এৰ সৰ্ব্বেশ্বর এষ সৰ্ব্বজ্ঞ এযোহন্তৰ্য্যামোষ যোনিঃ সৰ্ব্বাস্ত প্রভবোপ্যসেী ।” ৩ । তত্ত্ববিদ্যায় সামাজিকতা । সামাজি ক্ষতা ও রাজনীতি অথবা মোটের উপরে সমগ্র সাংসারিক সংবিষয়ের প্রতি, মানবীয় আগ্রহ, পারলৌকিক তত্বের প্রতি যেরূপ, ধরিতে গেলে, সেইরূপ সম পরিমাণেই হওয়া উচিত ; তাহা হইলেই উভয় দিকে সমান ওজন রক্ষা হওয়াতে, সামঞ্জস্য ভাবের উৎপত্তি হেতু, নিষ্কলঙ্ক মুফল প্রসবিত হইয়া থাকে। মানৰ সামাজিক জীব ; এই কৰ্ম্মক্ষেত্রে সে একাকী ঐশ্বরিক অভিপ্রায়-নিযুক্ত মহাকৰ্ম্ম সম্পাদনে অক্ষম, কেবল বহুজনের সহমিলিত হইলেই তাঁহাতে পারক হইয়া থাকে । মানবীয় আত্মা এ পৃথিবীতে কেবল পরলোক চিন্তা করিতে আইসে নাই, কৰ্ম্ম করিতে আসিয়াছে । যে ব্যক্তি একথা ভুলিয়া গিয়া, কেবল পরলোকচিন্তায় রত হইয়া সন্ন্যাসীর স্তায় সামাজিকত-পরিশূন্ত জীবনতিবাহন করে, সে যে কখন প্রকৃতরূপে ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য সাধন করিতে সমর্থ হয়, এরূপ বোধ হয় না ; কারণ, ফলে ইহা কাৰ্য্য না করিয়া পুরস্কারের প্রার্থনা স্বরূপ হইয়া দাড়ায় । ইহলোককে আশ্রয় করিয়াই পরলোক এবং ইহলোক পরলোকের ভিত্তিস্বরূপ ইহলোকে যেরূপ আচরণ ও অনুষ্ঠান করা , যায়,