পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । ৩৭৯ বলিতেছি, পরমেশ্বর নিফলতায় ও বিনা অভিপ্রায়ে কিছুই প্রদান করেন না । স্বভাবতঃ, মানুষে প্রদত্ত কাৰ্য্যশক্তির কিয়দংশ জাগ্রত ও কিয়দংশ সুপ্তভাবে মানবমনে তিষ্ঠে। জাগ্রত অংশ যাহা, তাহ নিত্য কৰ্ম্ম জন্ত এবং সুপ্ত অংশ যাহা, তাহ নৈমিত্তিক এবং গুরু কৰ্ম্মের নিমিত্ত প্রয়োজন হয় । সুপ্ত শক্তির আভাস হইতে, দেশ ও ক্ষণ অনুকুল হইলে, সেই শক্তিসাধ্য কর্মের নিমিত্ত মনে আকাজক্ষ ও সাহসের উদয় হইয়া থাকে। সেই আকাঙ্ক্ষা ও সাহসে যাহারা ভর করিয়া সুপ্তশক্তিকে চিনিয়া লইয়া ও যাহাকে জাগ্রত করিয়া কার্য্যে প্রবৃত্ত হয়, তাহারাই এ জগতে ধন্ত ; যাহারা তাহা করে না, তাহারা অপদাৰ্থ বা কাপুরুষ ; আবার সেই আকঙ্কা ও সাহসকে যাহারা পরিমাণাতিরিক্ত: বিপুল ভাবে গ্রহণ করে, তাহাদিগকেই এ জগতে গোয়ার ও অপরিণামদশী বলা যায়। যাহা হউক, প্রত্যেক ব্যক্তির কৰ্ত্তব্য, আপন আপন শক্তি ও যোগ্যতা অনুসারে যে যে কার্য্যে পারক, তাহার সেই সেই কাৰ্য্য প্রাণপণে সংসাধন করিতে থাকা । যথায় যথায় এরূপ ঘটনা হয়, তথায় সমাজ भत्रणमई এবং কৰ্ম্মকারকও ইহলোক পরলোক, উভয় লোকে মঙ্গল-উপযোগী হয়। পুনৰ্ব্বার বলিতেছি, এই কৰ্ম্মসাধন কেবল যদৃচ্ছ বুদ্ধিতে উদ্ভাবিত ও সংসাধিত হয় না। এতদৰ্থে অনলস পূর্ণ সাত্ত্বিক বুদ্ধির প্রয়োজন ; সেই সাত্ত্বিক বুদ্ধি আবার ধৰ্ম্মবিদ্যা ও ধৰ্ম্মচৰ্য্যার অনুশীলন দ্বারা প্রাপ্ত এবং ঈশ্বরে ভক্তি ও র্তাহার নিয়ম চিন্তন দ্বারা কৰ্ত্তব্যস্বরূপে পরিণত হইয়া থাকে। এইরূপেই কেবল ইহলোক, পরলোক সামাজিকতা ও ধৰ্ম্মকুশীলন, ইহাদের সামঞ্জস্ত রক্ষিত হয়। এই সামঞ্জস্তের বিপরীত হইলে, কৰ্ম্মফল, অথবা কৰ্ম্মপ্রকরণ এবং তাহার ফল উভয়তঃ, দূষিত এবং ছন্নপরিণামযুক্ত হইয়া থাকে। কৰ্ম্ম এবং কৰ্ম্মসামঞ্জস্তের প্রতি দৃষ্টি নী