পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাব । وج مراعيه কৰ্ম্মস্থলে পরিচালক ও পরিচালিত ভিন্ন, শারিগাহকের ন্যায়, আরও একদল ভেড়য়া, ভাড় প্রভৃতির প্রয়োজন হইয়া থাকে ; যথা প্রমোদকর উপন্যাস এবং ছটুলে কাব্য প্রভৃতি। এ সকলেরও মধ্যে ভাল মন্দ আছে, ইহাদিগেরও ব্যবহার আছে। কে না জানে, কষ্টসাধ্য কার্য্যে শারিগাহক কতকটা সহায়তা করিয়া থাকে। শারিগান প্রায়ই অকৰ্ম্ম অলস সময়ে গীতবদ্ধ হয়। প্রতি পরিচালক ও পরিচালিতেরই, সংসারস্থলীতে কৰ্ম্মক্ষেত্রের পরিমাণ ও সীমা নিরূপণ করা রহিয়াছে ; পরিচালকের দৃষ্টিদৃষ্ট বিষয় বা সহজ কথায় তাহার উদ্ভাবিত সত্য, সেই সীমান্তমধ্যে প্রচারিত ও পরিজ্ঞাপিত হওয়া আবশ্যক। এই সীমান্ত, বলা বাহুল্য দেশ ও কাল—এক এবং উভয় ব্যাপিয় প্রসারিত। সীমান্তবৰ্ত্তী স্থান ও কাল সংকীর্ণ হইলে, একা বাক্যের দ্বারা সেই উদ্ভাবিত নব সত্যের প্রচারণা সংসাধিত হইতে পারে। কিন্তু যখন তাহা বহুবিস্তৃত ও বহাসূতন . তখন আর প্রচার-কাৰ্য্য একা বাক্যের দ্বারা সমাধা হইয়া উঠে না ; তখন কাজেই নানা লোক-মুখে প্রচার এবং প্রচারের আরও বহু বিস্তার আবশ্বক হওয়ায়, কালী কলমের আবশ্বক হয় । এরূপ প্রচার স্থলে, কালী কলমের ব্যবহার হইতে যে পদার্থের উৎপাদন হইয়া থাকে, তাহাকেই প্রকৃত পক্ষে গ্রন্থ বলা যায় ; তদ্ভিন্ন অন্ত সমস্ত গ্রন্থ নহে, তাহাদিগকে গ্রন্থামুকারী ছায়ামাত্র বলা যায়। এরূপ সত্যোদ্ভাসক গ্রন্থের-গ্রন্থকার র্যাহারা, তাহারাই এজগতে বহুকাল জীবিত থাকিয়া জগদ্ধসীর নিকট হইতে স্বেচ্ছ ও ভক্তি-প্রদত্ত পূজা প্রাপ্ত হইয়া থাকেন। নতুবা অপর যাহার, তাহার উৎপতিতবৎ একবারমাত্র কালের তরঙ্গকল্লোলে উঠিয়া, অমনি আবার বিলীন হইয়া যায়। প্রকৃত "গ্রন্থকার যাহারা, তাহাদিগকে খোষ-আমোদ বা সখের গ্রন্থকার বলিয়া