পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাঙ্ক্ষ হইতে ক্রমোত্তর চেষ্টাজাত ধারণা, উভয়ই সঙ্কীর্ণতা প্রাপ্ত হইয়া আসিল ; দ্বিতীয়তঃ ইহলৌকিক এবং আনুষ্ঠানিক বিষয়াভিনিবেশে তাদৃশ প্রয়োজনীভাব হেতু, আকাঙ্ক্ষা ও আসক্তি যাহা, তাহা চিন্তা ও কল্পনা-ক্ষেত্র এবং পারলৌকিক বিষয়ে সমাহিত হইল — সুতরাং পারলৌকিকবিষয়মূল ধৰ্ম্ম এবং চিন্তা ও কল্পনামূল বিদ্যা, ইহারাই হিন্দুর পরম প্রিয় পদার্থ হইয়া দাড়াইল । গ্রীকের নিকট তৎপরিবর্তে, প্রত্যক্ষদৃষ্ট জগৎ এবং লোকযাত্রাবিধায়ক কৰ্ম্মপন্থাই প্রধানতঃ প্রিয় পদার্থে পরিণত হইল, এবং অনুষ্ঠানের প্রতি আসক্তি জন্য সাংসারিক বিষয় সম্বন্ধে ধারণা ও আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পাইতে থাকায় ইহলোকের শ্রেয়োবিধায়ক লোকবিদ্যাও পুষ্টত প্রাপ্ত হইতে লাগিল । হিন্দুর মধ্যেও লোকবিদ্যার প্রবর্তন ও উন্নতি না হইয়াছিল, এমন নহে ; কিন্তু যে গুলির ধৰ্ম্ম সহ সম্বন্ধ আছে, তাহরই এবং সে সকলেরও পুনঃ ধৰ্ম্মাতিরিক্ত গতি যেখানে, সেখানে, হিন্দু আর অগ্রসর হওয়ার আবশ্বকতা বিবেচনা করেন নাই। আবার যে সকল বিস্তার ধর্মের সহিত প্রত্যক্ষে কোনই সংশ্রব নাই, সেখানে হিন্দু কেবল উপস্থিত প্রয়োজন পূরণ করিয়া ক্ষান্ত হইয়াছেন, আর উন্নত্তি কামনা করেন নাই। এই জন্তই হিন্দুর অনেক বিষয় সম্বন্ধে দেখিতে পাওয়া যায় যে, অতি প্রাচীনকালে তাহদের যে ভাব ছিল, এখনও তাহারা সেই একই ভাবে বর্তমান রহিয়াছে। এ বিষয়ের দৃষ্টান্ত সহজপ্রাপ্য বিধায়, উল্লেখবিশেষের প্রয়োজন নাই। যেরূপ চিন্তামার্গ হিন্দুর অবলম্বন করিয়াছিলেন, তাহার বিষয়ীভূত পদার্থ অপ্রত্যক্ষ ও অনির্দিষ্ট ; সুতরাং এখানে চিন্তা বহুপথ অবলম্বনে বহু মত প্রসব না করিয়া থাকিতে পারে না ; কিন্তু অনুষ্ঠানপ্রিয় গ্রীকের মধ্যে সেরূপ পথ ও মক্তবহুলতা ঘটবার কথা নহে। এ