পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাব । BSvరి হিয়াংসাং লিথিয়াছেন যে, শীলাদিত্যের যাহা কিছু রাজস্ব আদায় হইত, তাহার এক-চতুর্থাংশ ধৰ্ম্মকাৰ্য্য, দান ও শিক্ষাকাৰ্য্যের নিমিত্ত: ব্যয়িত হইত। এখনকার স্তায় বেতনগ্রাহী স্কুলকলেজ তখন ছিল না। ধনী বা রাজসরকার হইতে অধ্যাপকের সাহায্য পাইতেন এবং সেই সাহায্যবলে তাহারা অধুনাতন টোলের ন্যায় ছাত্রগণকে আহারীয়, থাকিবার স্থান ও বিদ্যা দান করিতেন । তদ্ভিন্ন রাজসাহায্যে অনেক মঠ স্থাপিত ছিল এবং সেই সকল মঠেও ছাত্রগণ বিনা ব্যয়ে থাকিতে ও বিদ্যাভ্যাস করিতে পাইত। এইরূপ মঠসকলের মধ্যে, মগধরাজ্যস্থ নালন্দার মঠ হিয়াংসাঙের দ্বারা প্রধান বলিয়া উক্ত এবং উহা বিদ্যাবিষয়ে অতি বিখ্যাত বলিয়া কথিত। এই মঠ রাজদত্ত একশত গ্রামের কর দ্বারা প্রতিপালিত হইত এবং তথায় পাঁচ শত অধ্যাপক ও দশ সহস্র ছাত্র প্রতিনিয়ত থাকিতে, থাইতে ও প্রতিপালিত হইতে পাইত। হিয়াংসাং যাহা বর্ণনা করিয়াছেন, অদ্যাপিও বৰ্ত্তমান টােলপ্রথা এবং মঠসকলে তাহার পরিচয় পাওয়া যায় ; এবং সম্ভবতঃ হিয়tংসাঙের বর্ণিত প্রথা হিয়াংলাঙের বহু শতাব্দী পূৰ্ব্বেও প্রচলিত ছিল । মিগাস্থিনিসের বর্ণনাতেও অনুমিত হয় যে, বিদ্যা বিনা ব্যয়ে বিত রিত হইত ; কারণ যাহারা বিদ্যা বিতরণ করিতেন, র্তাহারা প্রায়ই সকলে সকল অভাবকে অতিক্রমপূর্বক নগরসন্নিহিত বনে বাস করি তেন। তাহারা পর্ণকুটারে পত্ৰশয্যায় শয়ন করিতেন, সংসারবিরতি এবং ভিক্ষান্নভোজী ছিলেন, সৰ্ব্বদী তত্ববিদ্যার আলোচনা করিতেন, এবং যে কেহ শিক্ষাপ্রার্থী হইত, তাহকে শিক্ষা দান করিতেন। ব্রাহ্মণসস্তানের জন্মের পর হইতেই সাবধানে রক্ষিত ও নানাবিধ সংস্কারে সংস্কৃত হইতেন। তঁহারা সাঁইত্রিশ বর্ষ বয়ঃক্রম পৰ্য্যস্ত