পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8३३ औक ७ झ्नूि ॥ পরিচয় দিবার আবগুক নাই। এই পৰ্য্যন্ত বলিলে পর্য্যাপ্ত হইবে যে, লাইকৰ্গসপ্রণীত ব্যবহারশাস্ত্র উহাকেই অবলম্বন এবং ভিত্তিস্বরূপ করিয়া নিৰ্ম্মিত। গ্রীকদিগের মধ্যে আর একজন মাননীয় ব্যবহারবিৎ ছিলেন, উ হার নাম সোলন । সোলনের বিধির প্রধান স্বখ্যাতি এই যে, উহাতে মিনো এবং লাইকর্গসের ন্যায় মনুষ্যত্বকে একেবারে বলি দেওয়া হয় নাই ; একটু মনুষ্যত্বের দিকে চক্ষুলজ্জা ছিল এবং কথিত দুইটির স্তায় ধৰ্ম্মনীতিতেও একেবারে দৃষ্টিশূন্ত ছিল না । মোটের উপর ধরিতে গেলে, তাৎকালিক গ্ৰীকসমাজের পক্ষে, সোলনের বিধিকে বহুলাংশে লোকহিতকর বলা যাইতে পারে। সোলনের সর্বপ্রধান ও সৰ্ব্বপ্রথম বিধি অধমর্ণের স্বপক্ষে। পূৰ্ব্বে আর্থিনীয়গণকে ধার করিতে হইলে, পুত্র, কন্যা, গৃহিণী এবং আপনাকে পৰ্য্যন্ত বন্ধক দিয়া ধার করিতে হইত। নিয়মিত সময়ের মধ্যে সেই ঋণ পরিশোধ করিতে না পারিলে, উত্তমণ যদি ইচ্ছা করিত, তবে ঐ ঋণী ব্যক্তির পুত্র কন্যা স্ত্রী বা তাহাকে, অথবা সৰ্বমত সকলকেই, দাসরূপে চাইনিজে রাখিতে, চাই অন্তভ্র বিক্রয় করিতে পারিত। উত্তমর্ণ ইচ্ছা করিলে অধমণকে কয়েদ করিতে ও বেগার খাটাইয়াও লইতে পারিত। সোলন ইহা রহিত করিয়া এই নিয়ম করেন যে, অধমণকে কয়েদ করা, তাহাকে বা তাহার কোন পরিজনকে দাসত্বে বিক্রয় করা, অথবা তাঁহার ভূসম্পত্তির উপর হস্তক্ষেপ করা, উত্তমর্ণ এ সকল কিছুই করিতে পারিবে না ; ঋণ পরিশোধ করিতে না পারিলে, কেবল তাহার অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করিতে উত্তমর্ণের অধিকার থাকিবে। এই বিধি প্রদানের দ্বারা সেলিন অত্যাচারী সন্ত্রান্ত সমাজের নিকট নিতান্ত বিরাগভাজন হইয়াছিলেন ; এই সম্রাস্তবংশ অত্যাচার এবং লোকপীড়নে এদেশীয় জমিদারের অনুরূপ