পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

গ্রীক ও হিন্দু। مObه পরিমাণ ও তত্ত্বৎপন্ন শান্তি পাইবে কোথায়? আমরা ন্যস্ত কার্য্যে যথাজান ও যথাবুদ্ধি সাত্ত্বিক ভাবে শক্তিচালনা করিতে পারিলেই, দায় খালাসে শাস্তির পাত্র হইতে সক্ষম হই। সে যাহা হউক, কেবল সুসজ্জিত-করণ ও তাহা হইতে কাৰ্য্যরূপ ফলাকর্ষণ ক্রিয়াই আত্মিক শক্তিচালনার উপর নির্ভর করিয়া থাকে ; নতুবা যে সকল বস্তুর যোগে চিত্ত প্রতিভাসিত ও ভাবযুক্ত হয়, তাহদের আয়োজনের উপর তাহ অধিকার ও ক্ষমতাবিহীন । সুসজ্জিতকারিণী আত্মিক শক্তি, যথায় যেরূপ উপকরণ সংগ্রহ দেখিয়া থাকে, তথায় সেইরূপে ও তাঁহারই অনুগামিনী হয়। ফলতঃ যেখানে যেরূপ উপকরণ দেখা যায়, সেখানে যেরূপে সুসজ্জিত করিলে তাহাদিগকে ভাল বা মন্দ দেখায় অথবা ভাল বা মন্দ ফল হয়, তাঁহারই সাধন করা আত্মিক শক্তির কাজ । কি ব্যক্তিবিশেষে, কি জাতিবিশেষে, সুসজ্জিতকারিণী আত্মিক শক্তির কালানুরূপ যথোপযুক্ত পরিচালনার অভাব হইলেই, তত্তং ব্যক্তি বা জাতি হেয় হইয়া থাকে ; এবং কলের প্রতি তরঙ্গাঘাতে, মূলশূন্তবং একবার এদিক একবার ওদিক করিয়া, শেষে বিলয় প্রাপ্ত হয় । অতএব কি ব্যক্তিগত, কি জাতিগত, উভয় জীবন পরিচালনে, কথিত আত্মিক শক্তিকে কালবিবৰ্ত্তিত উৎকর্ষানুরূপ চালনা করা একান্ত আবশ্যক । যে সকল বস্তুর ভাসে প্রতিভাসিত হওয়া, অর্থাৎ যাহাঁদের সংস্রবে কথিত চিত্তভাবান্তর উপস্থিত হওয়ার বিষয় উপরে বলিয়া আসিলাম ; তাহার সহ অপরবিধ অর্থাৎ আত্মিক ভবদাত অস্তুজগৎ সম্মিলিত হইলে, যে অপূৰ্ব্ব গুরুচণ্ডালী যোগ উপস্থিত হয়, সেই যোগই ব্যক্তিগত বা জাতিগত প্রকৃতি নিৰ্ম্মাণ করিয়া থাকে। জাতি সম্বন্ধে উহারই প্রসাদাং জাতীয় প্রকৃতি ; এবং সেই প্রকৃতিতে আত্মিক শক্তির কালানুরূপ পরিচালনে যে তারতম্য ভাব, তাঁহাই