পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

용 यौक ७ श्नूि । পহ্নবজাতিরাই ভারতবর্ষের সহিত পাশ্চাত্য বাণিজ্য চালনার প্রখ, গ্রন্থি ; তাহদের হাত হইতে ভদগ্রবর্তী জাতি, তদগ্রবর্তী হইতে তদগ্রবর্তী এইরূপ হাতপরম্পরায় দ্রব্যাদি ক্রমে দুর পাশ্চাত্যভূমিতে পৌছিত। উপরে বলিয়াছি যে, ভারতীয়েরা যদিও স্লেচ্ছদেশে গমন করিতেন বটে, কিন্তু ততটা নহে, যতটা ম্লেচ্ছগণ ভারতে আগমনের দ্বার বাণিজ্য কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিত। সত্য বটে তাহাতেও ধনবৃদ্ধি পক্ষে লাভ ভিন্ন লোকসান নাই ; কিন্তু কথা এই, বিদেশগমনে সৰ্ব্বদা স্বয়ং কৃতী হইলে যতদুর হইবার সম্ভাবনা, সেরূপ লাভ ইহাতে অবশুই হইবে না। আডাম স্মিথ বলেন, যে যখন বিদেশে দ্রব্যপ্রেরণ এবং বিদেশ হইতে দ্রব্যগ্রহণে স্বয়ং কৃতী হইতে না পারা যায়, তখন হ্রদেশজাত বস্তু সকলের অযথাভাবে নিয়োগাপেক্ষা, বৈদেশিক যত্বে বিদেশে নীত হইলেও যধেষ্ট লাভের সম্ভাবনা আছে ; এবং তিনি দেখাইয়াছেন যে, এই নিয়ম হেতু প্রাচীন কাল হইতে মিসর, চীন এবং ভারতবর্ষ স্বয়ং বৈদেশিক বাণিজ্যবিমুখ হইলেণ্ড, বিপুল ধনশালী হইয়াছিল। তিনি আরও দেখাইয়াছেন যে, এই কারণেই, উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিমভারতীয় উপনিবেশ-সকলের ধনশালিত্ব বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছে। হইতে পারে তাঁহাই, কিন্তু এখন আর ভারতের ভাগ্যে সে কথা খাটে না। যাহাদের উৎপন্ন, তাহার স্বহস্তে সেই উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রয় করিতে পরিলে এ কথা না খাটে, এমন নহে ; কিন্তু যেখানে উৎপন্নকারক উদরামমাত্র লইয়া উৎপন্ন দ্রব্য মাথায় বহিয়া অপরকে দিতেছে এবং যেখানে তাঁহাদের পরিবর্তে বিদেশীয়গণ সেই সকল যেখানে বিক্রয় করিতেছে ও সেখানেই কিনিতেছে, সেখানে এ কথা কিরূপে থাটিবে ? ঘরে ও বিদেশে উভয়তঃ বিদেশীয় হইলে,