পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8१२ গ্রীক ও হিন্দু। উন্নতি সাধন করিয়াছিল। এক্ষণে ভারতীয়দের প্রতি দেখ। তাহাঁদের ঋগ্বৈদিক গাথাসকল কোন দূরতম কালে প্রস্তুত ও গীত হইয়াছে, তাহার স্থিরতা নাই ; অথচ তাহাতে জ্যোতিৰ্ব্বিস্তাবিষয়ক এমন বহুতর গুঢ় ও সারতত্ত্বসমূহের বহুল উল্লেখ পাওয়া যায়, যাহাদের মধ্যে কোন কোনটার জ্ঞান অতি অল্প দিন হইল ইউরোপভূমিতে আবিষ্কৃত ও পরিচিত হইয়াছে। তদ্ব্যতীত সামবেদীয় গোভিলীয় নবগ্রহশান্তিপরিশিষ্ট, অথৰ্ব্ববেদীয় নক্ষত্ৰকল্প, গ্রহযুদ্ধ, নক্ষত্রগ্রহোৎপাত লক্ষণ, কেতুচার, রাহুচার, এবং ঋতুকেতু-লক্ষণ, ইত্যাদি প্রাচীনতম গ্রন্থ সকল সাক্ষ্য দিতেছে যে, অতি প্রাচীনকালেই জ্যোতিৰ্ব্বিষয়ক জ্ঞান ভারতে অপরিমিত ভাবে উন্নতি লাভ করিয়াছিল। তৎপরে অপেক্ষাকৃত আধুনিক সময়ে অবতরণ করিয়া, আর্যভট্ট ভাস্করাচাৰ্য্য প্রভৃতি মহামহোপাধ্যায়গণ ইহার কতদূর উন্নতি সাধন করিয়াছিলেন, এখানে তাহার পরিচয় দিবার আবশ্যক নাই। ফলিত জ্যোতিষও সম্পূর্ণতঃ ভারতের একচেটিয়া সম্পত্তি কি না, তাহা বলিতে পারি না ; তবে এটা ঠিক যে, ভারতে তাহার স্বাধীন উৎপত্তি এবং তাঁহাতে অপর কোন জাতির সাহায্য অপেক্ষা করিতে হয় নাই। ইহার উৎপত্তি বৈদিক সময় হইতে ধরিতে হয়, কারণ তখন হইতেই দেখিতে পাওয়া যায় ষে, শুভাশুভ তিথি নক্ষত্রাদি ভেদে যজ্ঞকাৰ্য্য বিধেয় কি অবিধেয়, তাহ নিরূপিত হইতেছে। যেখান হইতে জ্যোতিষ্কগণের শুভাশুভ গুণ বিচারের আরম্ভ, সেইখান হইতেই ফলিত জ্যোতিষের উৎপত্তি ধরিতে পারা যায়. রামায়ণে রামের জন্মকোষ্ঠীই দেওয়া হইয়াছে এবং মহাভারতে আরও বিস্তারপূর্বক, ফলাফল ভেদে অনেক প্রকার গ্রহযোগ বর্ণিত হইয়াছে। রাহকেতুকে গ্ৰহমধ্যে গণিয়া, তাহদের শুভাশুভকারকতা নির্দেশ আধুনিক কালের