পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাব । 8ዋልቲU মনকে তাহাতে অমুক্ষণ আকৃষ্ট করিয়া থাকে। ভারতে রামায়ণ যে শ্রেণীর মহাকাব্য, গ্রীকভূমিতে হোমারের ইলিয়দও সেই শ্রেণীর মহাকাব্য। উভয়েরই মূল ঘটনা প্রায় এক ধরণের এবং উভয়েতেই কৰ্ম্মক্ষেত্র স্বৰ্গ-মর্ত্য-পাতাল এই ত্রিভুবন ব্যাপিয়া । উভয়েরই ভাব ও রসবৈবিত্র্য অপরিসীম। উভয়ই নবরসাধার, উভয়েতেই অপার ঐশ্বৰ্য্য-বিস্তার। এখন এই দুইখানি গ্রন্থ পাঠ করিয়া দেখ, চিত্তে কিরূপ ভাবের উদয় হয়। রামায়ণপাঠে, ক্রমান্বয়ে, বাসস্তী শোভা ও সাংসারিক মুখমা-ধুরীতে মোহিত হইলাম ; স্বখের দোলায় ছলিলাম ; কিন্তু কোথায় তৃপ্তি ? তৃপ্তির দেখা পাইতে না পাইতে অমনি হঠাৎ কে আবার এ দৈব দুৰ্ব্বিপাক উপস্থিত করিয়া স্নেহশৃঙ্গল ছিয়ে হৃদয় নির্যাতন করিতে দণ্ডায়মান ? ক্রমে বিষাদের তুমুল তরঙ্গ, পরে হাহাকার, শেষে কাদিতে কঁাদিতে দারুণ দুঃখতরঙ্গে নিমগন।— কিন্তু সহসা একি শব্দ, এ রণশঙ্খ কোথায় বাজিতেছে । হৃদয় শব্দে শব্দে মাতিয়া উঠিল, তর তরে শিরায় শোণিত বহিল, চক্ষু দিয়া অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছুটিল, হুঙ্কারধ্বনিতে দিক’ নিনাদিত ; মার-মার, ধর—ধর, রব !—“ভেদয় ভেদয়, ছেদয় ছেদয়, হন হন, দহ দহ, মারয় মারয়—”একি প্রলয়কাল উপস্থিত, না রুদ্রদেব মহারুদ্রমূৰ্ত্তিতে সংহারশূল ধারণ করিয়াছেন ? এদিকে এ কে ? বরাভয়খপরমুণ্ডহস্ত রণরঙ্গিণী উগ্ৰচণ্ড –কি প্রচণ্ড তাগুৰ, প্রোৎক্ষিপ্তোংক্ষিপ্ত দিগ্‌গজ বসুন্ধর পদভরে ঘন টলটলায়মান ! কাহারা পুনঃ ঐ অন্তকবদনে তাহদের স্বগণ সহ দলে দলে প্রবেশ করিয়া বিলীন হইয়া যাইতেছে,— ঐ ঐ ! দেখিতে দেখিতে আবার ঐ দেখ, দেখিতে দেথিতে পলঙ্কপ্রমাণে সেই সকল কোথায় পলাইল, কোথায় সে রৌদ্র মূৰ্ত্তি— ছায়াবাজিপ্রায় কোথায় লুকাইয় গেল। উল লুকাইতেছে বটে,