পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাৰ। । 8b烤 এইবার লক্ষ বলি। আহুতিপাতরূপে মহাসর্পসকল ধড়ফড় করিম, আসিয়া পড়িতেছে। বিশাল জিহব। প্রসারিত করিয়া, সম অগ্নিশিখা, উন্মত্ত অট্টহাসের দ্যায় আলোকান্ধকারে গগন পরিব্যাপ্তে যুগান্ত-মূৰ্ত্তিাং সমুপস্থিত। আকাশে অগ্নিবর্ষণ, ঘন বজ্ৰঘোষে দিশ্বলয় নিনাদিত, জীবজগৎ চমকিত, ভারভরে পৃথিবী টল মল করিয়া দুলিতেছে। স্বৰ্য্যশশী কাল তিমিরে আচ্ছাদিত ; থাকিয়৷ থাকিয়া প্রকৃতির চমকবং কাগাগ্নিশিখায় জগৎ আমূলতঃ ক্ষণে ক্ষণে লোহিতনীলাভায় আলোকিত হইয়া উঠিতেছে। কি অদ্ভূত, কি ভয়ঙ্কর দৃপ্ত ! এইবার নাগরাজ তক্ষকের পতন,—ত্রয়-ভরসা হেক্তরের পতন হইবে । হেক্তর পড়িল। অভাবনীয় আহুতি লাভে, অভাবনীয় বল প্রাপ্তে, অগ্নিশিখা বিপুলবেগে ধাবমান হইল । স্বর্গে দেবদল, মৰ্ত্তে মানব, সকলেই শঙ্কিত। কবি তখন স্থষ্টিনাশের আশঙ্কায়—আয়নাশের আশঙ্কায়–অগ্নি নিৰ্ব্বাপিত করিবার জন্য আগ্রমেকি, প্রিয়াম ও তৎপরিজনবর্গের করুণরস ঢালিতে লাগিলেন। অপরিমিত ভাবে ঢালিতে লাগিলেন । অগ্নি নিৰ্ব্বাপিত্ত হইল বটে, কিন্তু একেবারে নির্বাপিত হইল না। উপরে শীতল হইল, কিন্তু ভিতরে এখনও অগ্নি ধিকি ধিকি করিয়া আস্ফালন করিতেছে ; একটু বাতাস পাইলেই ধকধক করিয়া জলিয়া উঠিবে। এখনও সেই চিতার মধ্য হইতে মার মার শৰে হেক্তর ও পারসের আত্মা চীৎকার করিয়া, আপনাপন পক্ষকে প্রতিশোধ লইবার জন্ত উৎসাহিত করিতেছে । তখনও চীৎকার করিয়া সাবধান করিতেছে, দেখিও যেন গ্ৰীকসুন্দরী হেলেন ও স্পার্টার রত্নরাশ হস্তান্তরিত হইতে না পায়। সুতরাং এ অগ্নি একেবারে নির্বাপিত হইল না, আবার জলিয়া উঠিবার নিমিত্ত সময় প্রতীক্ষা করিতেছে মাত্র ।