পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€eరి ॐीतः ७ क्षिं । এই অপরোক্ষ স্বার্থমূলক সামাজিক নিয়োজনকে প্রোক্ত নামে না: ডাকিয়া, উহাকে শয়তানী বা মহাপ্রলয়-নিয়োজন বলিয়া ডাকিলেই সঙ্গত হয়। এই শয়তানী তৃতীয় মূল, জাতীয় জীবনের অধঃপতন অবস্থা, বা এক অবস্থা হইতে অবস্থান্তর পরিগ্রহের প্রাক্কালে, অবলম্বিত হইয়া থাকে। এই সময়টি তদ্রুপ অধঃপতিত জাতীয় জীবনের পক্ষে কলিযুগ স্বরূপ । এ সময়ে ধৰ্ম্ম যথার্থতই ভগ্ন-ত্রিপদ, পয়স্বিনী বসুন্ধরা থিদ্যমান, দেবদল নিদ্রিত ; একমাত্র পাপশয় কলি সমস্ত জগৎ মথিত করিয়া ফিরিয়া বেড়ায় । উৰ্দ্ধ-অধঃ পাশ্বে, চতুর্দিকে মানবের স-আশ-দৃষ্টিস্থলে একমাত্র শূন্তপাত। প্রতি সহচর তখন মেফিষ্টফিলির অবতার। ফষ্টকে ভ্রমপাতিত করিতে এক মেফিষ্টফিলিঙে রক্ষণ ছিল না ; কিন্তু এখানে প্রতি সামান্ত প্রাণ মানবকে ঘুর্ণাচক্রে । வழக অপরোক্ষ স্বার্থ যতদুর জঘন্ত পদবীতে নামিতে পারে, তথায় তাহী নামিয়াছিল । লোক সমস্তই নিঃস্ব, কিন্তু ভাত না হউক, তথাপি দুধের প্রয়োজনটা যেন কিছু বেশী ; এজন্য প্রায় সকলেরই একটি বা একাধিক গাইগরু • ছিল । এখন বেশী দুধের অংশীয়, গরুটি যাহাতে খাইয়া খুব পুষ্ট হয় এই অভিপ্রায়ে, প্রত্যেকেই রাত্রিতে লুকাইয় গরু ছাড়িয়া দিত ; উদ্দেপ্ত–মাঠ হইতে লোকের ফসল খাইয়া আইসে। প্রত্যেকেই প্রতিদিন এইরূপ করিত, অথচ । প্রত্যেকেই ভাবিত, “আমি যে কৌশল খেলিতেছি, অষ্ঠে তাহা জানে না ।” কিন্তু শেষে জানিল সকলে এবং ফলও হইল এই যে, সেই প্রত্যেক কৌশলী ব্যক্তিকে সে বৎসর নিজ নিজ ফসল বড় একটা আর ঘরে উঠাইয়া আনিতে হয় নাই । আরও ফল,—আগামী বর্ষে কাহারও কাহারও চাব করিবার সামর্থ্য পৰ্য্যন্ত লোপ পাইয়া গেল এবং অস্ত স্থানের চাষী যে দুই একজন তাঙ্গদের মধ্যে । ছিল, তাহারা সে মাঠের জমি ছাড়িরা অন্তএ চলিয়া গেল ; এ দিকে আবার; জমির খাজনার উপর যাহাদের নির্ভর, তাহারাও অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হইল । কিন্তু হায় । তথাপি তথার গরু ছাড়ার পক্ষে আশু চৈতন্ত হইতে দেখি নাই। বাঞ্ছারাম, মনে করিও না যে, কেবল এই গরিব গ্রাম একাই নিন্দার, ভাগী। তাহা নহে । ৰাঙ্গলাদেশের প্রায় সকল গ্রাম ও সকল লোকাচার ওকারবারেই ওরূপ ঘটনাৰ এখন প্রতিচ্ছায়া দেখিতে পাওয়া যায় । ।