পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(888 - গ্রীক ও হিন্দু। কিন্তু স্ত্রীদিগের তদ্রুপ স্বাধীনতা এখনই কোন কম আছে ?— । তবে বিলাতি ধরণে পুরুষের সঙ্গে সামাজিক-সংমিশ্রণ ও গলাগলি অৰশু নাই বটে। সামান্তজাতীয়া স্ত্রীলোকের যথাতথা গমন ও যাহার তাহার সঙ্গে বাক্যালাপে বড় একটা প্রতিবন্ধকতা দেখা যায় না। ভদ্রকুলজাতাগণের মধ্যেও, গ্রামস্থলীতে চলাফেরায় স্বাধীনতা কত, গ্রামবাসীমাত্রে তাহ অবগত আছে । প্রৌঢ়াগণ সাধারণতঃ গ মেলিয়া ঘাটে মাঠে পথে ও তীর্থ প্রভৃতিতে কোথায় না যায় ও কাহার সঙ্গে না কথা কয় ?—যুবতী সম্বন্ধে অবহু সেই সেই বিষয়ে অনেকটা বাধাবাধি আছে বটে এবং গুরুতর সম্পৰ্কীয় আত্মীয় পুরুষের সঙ্গেও বাক্যালাপ নিষিদ্ধ ; কিন্তু তাহ অকৰ্ত্তব্য বা অবিবেচনার কার্য্য নহে । যুবতীর প্রতি যে বাধাবাধি, তাহাও শ্বশুরালয়ে এবং তথায় অন্ত কারণে তত নহে, যতটা সম্মান প্রদর্শনের খাতিরে ; নতুবা এদিকে আবার পিতৃ বা মাতুলালয়াদিতে সে সকল বাধার্বাধি কত কম ; নাই বলিলেও চলে। ইহার উপরেও যাহারা বলিয়া থাকে যে, ভারতীয় স্ত্রীলোকগণ অতি শোচনীয় ভাবে ণিজরাবদ্ধ ও কয়েদীর দ্যায় ; তাহারা হয় অন্ধ, নতুবা জ্ঞানপূর্বক ও মতলববাজীতে মিথ্যা রটনা করিয়া থাকে । স্ত্রীপুরুষের যকৃচ্ছা-সংমিশ্রণে, স্বীয় স্বীয় সততা রক্ষাকল্পে যে নৈতিক ও মানসিক শক্তির কার্য্যকারিত রটত হয়, আমার বিবেচনায় তাহt কষ্টকল্পনা ও উপন্যাসাতিরিক্ত নহে। কেহ স্বীকার করুক বা না করুক, অথবা বলিতে দিউক বা না দিউক, উভয়তঃ আত্মসতত৷ তাহাতে অতি অল্পই রক্ষিত হইয়া থাকে। তাহার পর যুবতী স্ত্রীলোক লইয়। পথে ঘাটে ষে বর্তমান অটোমাটু, তাহীও নিতান্ত অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয় বলিয়া বোধ হয় না, বিশেষতঃ আমাদের বর্তমান অবস্থায়। বাপু বাছারাম, অন্ততঃ যে পৰ্য্যন্ত অবস্থার পরিবর্তন না