পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शर्छ ७धंखांव । (two অনুশীলন করিত। তাহার পর সাধারণতঃ, গ্রীককামিনীগণ সামাজিক ও রাজনীতিক বিষয়ে প্রভূতরূপে শিক্ষিত ছিল, এবং তত্তং বিষয় তাহাঁদের দ্বারা বহুপরিমাণে উত্তেজিত ও উৎসাহিত হইত। স্পার্টার রমণীগণের সাহস ও দেশহিতৈষিতা বিখ্যাত, তদৰ্থে তাহারা স্বামীসন্তানগণের প্রতি যেরূপ উৎসাহবৰ্ষণ ও উত্তেজনা করিত, তাহা ইতিহাসজ্ঞমাত্রে অল্পবিস্তর জ্ঞাত আছেন। লিউক্টার যুদ্ধে যাহাদের যাহাদের স্বামী ও সন্তানাদি হতাহত হইয়াছিল, তাহদের আর আনন্দের সীমা ছিল না , কিন্তু যাহাঁদের স্বামীসন্তানাদি সেই স্পার্টার পরাজয়কারী যুদ্ধ হইতে জীবন লইয়া ফিরিয়াছিল, সুতরাং রণে পৃষ্ঠভঙ্গ দিয়াছিল, তাহারা খেদে অধীর হইয়া গিয়াছিল এবং সমাজে লজ্জায় মুখ তুলিতে পারে নাই। ভারতে, ইংরেজাধিকারের পূৰ্ব্বে রাজপুতবংশে, স্পার্টার রমণীগণের সহিত সাদৃশ্বযুক্ত বীর-প্ৰসবিনী ও বীরত্ববিধায়িনীর জলন্ত দৃষ্টান্ত অনেক দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু এখন ?—সে রাজপুতানা আছে, কিন্তু আর সে দৃষ্টান্ত নাই । রাজপুতরমণী এখন ধনীর ঘরে বিলাসিনী, কাঙ্গালের ঘরে ময়দা-পেশিনী, অধবা দোকানের দাড়িপাল্লা হাতে ধরিয়া মায়া মমতা, ও করুণা কোমলতায় ফাটিয়া অাটখান। কোথায় বীরপ্রসবিনী আর কোথায় নাকের্কাদুনীর চূড়ামণি —ভারতভাগ্যে আগুন এক রকমে নহে । অধিনীয় কামিনীগণ যদিও ম্পার্টার রমণীগণের ন্যায় বীর ও পুরুষপ্রকৃতি ছিল না বটে, কিন্তু সংসার, সমাজ ও লোকচরিতজ্ঞতায় অতিশয় পটু ও প্রতিষ্ঠাযুক্ত ছিল , এমন কি ইতর ঘরের স্ত্রীলোকের পর্যন্ত সে সকল গুণে সামান্ত ছিল না। গ্রীকপণ্ডিত থিওফ্রান্তস নিজে যে মূলে বিদেশী, বহুযত্ন করিয়াও তাহা একটা সামান্ত মেছুনীর কাছে ছাপাইতে পারে নাই ; দৃষ্টিমাত্র ব্যবহারের খুঁতে ধরা - পড়িতে లఆ